সরকার আজ সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ এর অধীনে জামায়াতে ইসলামী, তার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির এবং এর সকল ফ্রন্ট সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সত্তা হিসেবে নিষিদ্ধ করেছে। আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিকেলে এই রাজনৈতিক দল ও এর সব ফ্রন্ট সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় জামায়াত ও তার ছাত্র সংগঠন শিবির জড়িত থাকার অভিযোগ করে আসছিলেন মন্ত্রীরা। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার ১৪ দলের বৈঠকে জামায়াতে ইসলামী ও শিবিরকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একমত হন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের শীর্ষ নেতারা।
গেজেট বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯-এর ১৮ (১) ধারা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেয় এবং আইনের দ্বিতীয় তফসিলে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। উক্ত ধারায় বলা হয়েছে, "এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, কোন ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী কার্যের সহিত জড়িত রহিয়াছে মর্মে যুক্তিসঙ্গত কারণের ভিত্তিতে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত ব্যক্তিকে তফসিলে তালিকাভুক্ত করিতে পারিবে বা সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তফসিলে তালিকাভুক্ত করিতে পারিবে।"
গেজেটে উল্লেখ করা হয়, "যেহেতু সরকারের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং এর ফ্রন্ট সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড, ধ্বংসাত্মক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি এবং উসকানি দিয়ে জড়িত ছিল," সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ এর ১৮(১) ধারা অনুসরণ করে বাংলাদেশ জামাত-ই-ইসলামী ও ছাত্র শিবির কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া, জামায়াতের সাবেক আমীর গোলাম আযমসহ জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তিনটি রায়ের উল্লেখ করে গেজেটে বলা হয়েছে, জামায়াত (আগে নাম ছিল জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ) এবং এর ছাত্র সংগঠন শিবির (আগে ইসলামী ছাত্র সংঘ নামে পরিচিত) ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্য ট্রাইব্যুনাল জামাত ও এর ফ্রন্ট সংগঠনকে দায়ী করে।
এছাড়া, গেজেট জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার করার কারণ হিসাবে আরো উল্লখ করা হয় যে, হাইকোর্ট ০১/০৮/২০১৩ তারিখে রিট পিটিশন নং- ৬৩০/২০০৯ এ নির্বাচন কমিশনে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন। পরে সুপ্রীৃ কোর্টের আপীল বিভাগ কোর্ট হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে।
গেজেট:
0 coment rios: