জাতীয় লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
জাতীয় লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

১৩ নভে, ২০২৫

জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত 

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) জাতির উদ্দেশ ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, এতে সংস্কারের লক্ষ্য কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত হবে না। শিগগিরই জুলাই সনদ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোটের আয়োজন করা হবে। অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনের মতো গণভোট ফেব্রুয়ারি প্রথমার্ধে একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংস্কারের লক্ষ্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হবে না। নির্বাচন আরো উৎসবমুখর ও সাশ্রয়ী হবে। গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে উপযুক্ত সময়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা হবে।

এর আগে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আজ এ স্বাক্ষর করেন তিনি। এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়।

গত ২৮ অক্টোবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দুটি বিকল্প সুপারিশ জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি যে আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তার ভিত্তিতে গণভোট হবে।

এর আগে গত ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওইদিন জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের অনুষ্ঠানে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

১০ নভে, ২০২৫

যে কারণে ঝুলে গেল নতুন পে স্কেল

যে কারণে ঝুলে গেল নতুন পে স্কেল


ছবি: সংগৃহীত 

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছিল পে কমিশন। তবে শেষ পর্যন্ত বিষয়টি অনিশ্চয়তায় পড়েছে। রবিবার (৯ নভেম্বর) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, নতুন পে কমিশন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার।

অথচ কমিশন গঠনের শুরুতে তিনি বলেছিলেন— আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকেই বর্তমান সরকার নতুন বেতন স্কেল কার্যকর করবে। এই বক্তব্যে সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, বর্তমান সরকারেরই উচিত ছিল বিষয়টি নিষ্পত্তি করা। এর আগে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন স্কেল ঘোষণার দাবি জানিয়ে আল্টিমেটামও দিয়েছিলেন তারা। এখন পুনরায় কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী মনে করেন, সরকারের আর্থিক সক্ষমতার ঘাটতির কারণেই এই সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “অষ্টম পে কমিশনের পর নবম কমিশন পেতে ১১ বছর লেগেছে। এর মধ্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত ছিল, গত চার বছর তো আরও বেশি। ফলে নতুন বেতন কাঠামো এখন সময়ের দাবি।”

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সাধারণ কর্মচারীদের অনেক প্রত্যাশা ছিল। তারা ভেবেছিলেন, এই সরকার অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করবে। কিন্তু পে–স্কেল পরবর্তী সরকারের হাতে তুলে দেওয়াই প্রমাণ করে, তারা তা পারেনি।

অধ্যাপক সিদ্দিকী আরও জানান, দেশের বাজেট ঘাটতি বাড়ছে, আর্থিক ব্যবস্থাও চাপে রয়েছে। “কমিশন গঠনের সময় বলা হয়েছিল, এই সরকারই নতুন স্কেল দেবে। কিন্তু তহবিল সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আইনুল ইসলাম বলেন, সরকারের রাজস্ব আয় এখন ব্যয়ের তুলনায় অনেক কম। ঋণের সুদ পরিশোধ ও বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যয় বাড়ায় অর্থনীতি ভারসাম্য হারাচ্ছে।

তিনি বলেন, “এই অবস্থায় ৮০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বাড়ানো সম্ভব নয়। এমনকি ভবিষ্যৎ সরকারও অর্থনৈতিক কাঠামো না বদলালে তেমন বৃদ্ধি দিতে পারবে না। দেশ এখন নির্বাচনী সময় পার করছে— ভোট আয়োজন এবং গণভোট প্রক্রিয়া নিয়েও সরকারের বড় অঙ্কের ব্যয় নির্ধারিত আছে। সব মিলিয়ে বর্তমান প্রশাসন সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা থেকে সরে এসেছে,”।

৯ নভে, ২০২৫

 চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৮ নভেম্বর

চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৮ নভেম্বর

ছবিঃ সংগৃহীত 

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আজ বলেছেন,  চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং ১৮ নভেম্বর প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন অ্যাপ চালু করা হবে। 

“আগে, আমরা ১৬ নভেম্বর প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন অ্যাপ চালু করতে চেয়েছিলাম। এখন ১৬ নভেম্বরের পরিবর্তে, আমরা ১৮ নভেম্বর এই অ্যাপ (পোস্টাল ভোট বিডি) চালু করব। আমরা ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকাও প্রকাশ করব,” তিনি নগরীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন।

নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে আম জনতা পার্টির সদস্য সচিব তারেক রহমানের অনশন সম্পর্কে আখতার আহমেদ বলেন, “আইনগতভাবে আমরা একটি চিঠির মাধ্যমে বলেছি। এখন তারা আপিল করতে পারেন এবং ঘাটতি পূরণ করতে পারেন। আপিল বা সংশোধন বা পরিবর্তন, সময় বৃদ্ধি, এগুলো একটি সাধারণ বিষয়। তাই তারা অবশ্যই এটি বিবেচনা করবেন এবং আমি তাদের কাছে আন্তরিকভাবে আবেদন করছি এই অনশন ভাঙ্গতে।”

তিনি বলেন, তারা চাইলে সিনিয়র সচিব বা কমিশনের সচিবের কাছে আপিল করতে পারেন। তারা পুনর্বিবেচনা, সংশোধন, বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। যদি তারা আবেদন করেন, কমিশন তা বিবেচনা করবে কিনা তা ভিন্ন বিষয়,” তিনি আরও বলেন।

রাজনৈতিক দলগুলির সাথে নির্বাচনী সংলাপ সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমরা সংলাপের জন্য অপেক্ষা করছি এবং প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দলগুলির জন্য আচরণবিধির গেজেট পাওয়ার পরে সংলাপের সময় নির্ধারণ করব।”

৮ নভে, ২০২৫

'দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত সহজ ছিল না': ভারতীয় মিডিয়ায় শেখ হাসিনা

'দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত সহজ ছিল না': ভারতীয় মিডিয়ায় শেখ হাসিনা

ছবি: সংগৃহীত 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত সহজ ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘এটা জরুরি প্রয়োজনে নিতে হয়েছিল। যদি আমি সেখানে থাকতাম, তাহলে শুধু আমার নয়, চারপাশের সবার জীবন বিপদে পড়ত।’ গতকাল ভারতীয় দৈনিক ‘দ্য হিন্দু’কে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

একই দিন ভারতীয় দৈনিক ‘দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ এবং ‘হিন্দুস্তান টাইমসে’ সাক্ষাৎকার এবং সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘দ্য উইক’-এ তাঁর নামে নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সাক্ষাৎকার তিনটি ইমেইলে নেওয়া। এসব সাক্ষাৎকার ও নিবন্ধে তিনি আন্দোলনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা, তাঁর শাসনামলে অর্থ পাচার, অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, জুলাই সনদ, সংবিধান সংস্কার, গণভোট, বিএনপি ও উগ্রপন্থার উত্থান বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন।

শেখ হাসিনার কাছে দ্য হিন্দুর প্রশ্ন ছিল, দেশ ছাড়ার আগে আপনি কি পদত্যাগ করেছিলেন? যদি করে থাকেন, তাহলে ঢাকায় কারও কাছে কি আপনার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন? বিস্তারিত বলবেন কি?
উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করতে হলে রাষ্ট্রপতি বরাবর চিঠি জমা দিতে হয়। আমি কখনোই এমন কোনো চিঠিতে সই করিনি, বা রাষ্ট্রপতিও তা গ্রহণ করেননি।’

এই প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা আরও বলেছেন, ‘ঢাকা ত্যাগ করাটা আমার কাছে সহজ কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। বরং এটা ছিল জরুরি প্রয়োজনে নেওয়া। স্পষ্ট হয়েছিল, যদি আমি সেখানে থাকি, তবে শুধু আমার নয়, চারপাশের সবার জীবন বিপদে পড়বে। নিরাপত্তার পরিবেশ ক্রমেই অসহনীয় হয়ে উঠছিল। আমার, পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীদের জীবনের ওপর হুমকি ছিল।’

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রশ্ন ছিল, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আপনার সরাসরি ভূমিকা ছিল বলে অন্তর্বর্তী সরকার অভিযোগ এনেছে। জাতিসংঘ বলেছে, এই বিক্ষোভে প্রায় এক হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছে। এই অভিযোগগুলোর জবাবে আপনি কী বলবেন?

এর উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অভিযোগ করা হয়েছে, এই প্রাণহানির সঙ্গে যুক্ত নিরাপত্তা পদক্ষেপ ছিল আমার– এর কোনো ভিত্তি নেই। অভিযোগগুলোর উদ্দেশ্য প্রতিপক্ষের মুখ বন্ধ করা। মাঠ পর্যায়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পদক্ষেপকে সরকারের সরাসরি নির্দেশ হিসেবে চিহ্নিত করাটা ভুল। সহিংসতা মোকাবিলার ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু সদস্যের ভুল ছিল। তবে আমি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রতি মুহূর্তের কৌশলগত পদক্ষেপে নির্দেশ দিচ্ছিলাম– এ ধারণাটি নিরাপত্তা বাহিনী কীভাবে কাজ করে, তা বুঝতে মৌলিকভাবে ভুল করা। আমি আবারও বলছি, কোনো অবস্থাতেই আমি নিরাপত্তা বাহিনীকে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর অনুমতি দিইনি।’

দ্য উইকের নিবন্ধে শেখ হাসিনা দেশে ‘গণতন্ত্রের অভাব রয়েছে’ বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশে ‘অভিজাত শ্রেণি’র শাসন চলছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের সাক্ষাৎকারে চরমপন্থার উত্থান নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁর মতে, বর্তমান সরকারের নীতির কারণে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তিনি সতর্ক করেছেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন করার কথা ভাবা হচ্ছে, তা বৈধতা পাবে না।

ভারতের মাটিতে আশ্রয় নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসে সাক্ষাৎকারে তিনি নয়াদিল্লির প্রতি তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি ভারতীয় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। দ্য হিন্দুতে বিএনপির সঙ্গে কোনো গোপন বোঝাপড়ার সম্ভাবনা তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মতোই বিএনপিও একটি প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল। তারা বর্তমান সরকারের অসংগতিগুলো তুলে ধরছে।’

‘দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে’র প্রশ্ন ছিল– সম্প্রতি ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, আপনার ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার লুট হয়েছে। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম বিদেশে অর্থ পাচারে সহায়তা করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযোগ করেছে, আপনি পরিবার বা নেতাদের সুবিধা দিতে বেআইনিভাবে সরকারি জমি বরাদ্দ দিয়েছেন। এখন আপনার, ছেলে এবং মেয়ের বিরুদ্ধে আদালতের বিচার চলছে। নিজের, পরিবার এবং রাজনৈতিক সহকর্মীদের বিরুদ্ধে এই দুর্নীতির অভিযোগগুলোর জবাবে কী বলবেন?

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এগুলো তৈরি করেছে। আমি অস্বীকার করছি না যে দুর্নীতি ছিল না, তবে কেউ প্রমাণ করতে পারেনি যে আমার পরিবার ও সহযোগীরা রাষ্ট্রীয় সম্পদ থেকে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন বা রাষ্ট্রীয় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের কথা ভিত্তিহীন এবং হাস্যকর। এত বড় অঙ্কের চুরি করা সম্ভব নয়। যদি এমনটি ঘটত, তবে আমাদের অর্থনীতি ধসে পড়ত। অভিযোগকারীরা তথ্যের চেয়ে কাল্পনিক অভিযোগকে বেশি পছন্দ করেন।’


৫ নভে, ২০২৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আপিলের উপর সুপ্রিম কোর্টের শুনানি অব্যাহত

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আপিলের উপর সুপ্রিম কোর্টের শুনানি অব্যাহত


ছবিঃ সংগৃহীত 

জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পূর্ববর্তী রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আপিলের উপর আজ অষ্টম দিনের মতো শুনানি অব্যাহত রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের (এসসি) আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ শুনানি করেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এই বিষয়ে একটি আবেদন দাখিলকারী জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল আজ এই বিষয়ে তার যুক্তি উপস্থাপন অব্যাহত রেখেছেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক যুক্তি উপস্থাপন করেন। শুনানির সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।৪ নভেম্বর শুনানিতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এবং রুহুল কুদ্দুস কাজলও অংশ নেন। অ্যাডভোকেট আবেদীন ২৯ অক্টোবর তার বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেছিলেন।

এর আগে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ২৮ অক্টোবর যুক্তি উপস্থাপন করেন। ২১ অক্টোবর পাঁচজন বিশিষ্ট নাগরিকের পক্ষে অ্যাডভোকেট শরীফ ভূঁইয়া প্রথম যুক্তি উপস্থাপন করেন এবং পরের দিনও তা অব্যাহত রাখেন। ২৩ অক্টোবর ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকও শুনানিতে অংশ নেন।

২৭ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে, আপিল বিভাগ ২০১১ সালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি মঞ্জুর করেন, যেখানে ১৩তম সংশোধনী, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়েছিল। ১৩তম সংশোধনী পুনর্বহাল এবং তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত করার জন্য একাধিক রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াত মহাসচিব মিয়া গোলাম পরওয়ার, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন বিশিষ্ট নাগরিক এবং একজন আবেদনকারীর পক্ষ থেকে মোট চারটি রিভিউ আবেদন দাখিল করা হয়। এর আগে, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে, হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলুপ্তিকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছিলেন।

৪ নভে, ২০২৫

গণভোট ও সরকারের অধ্যাদেশ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত দিলেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শরিফ ভূঁইয়া ও ড. শাহদীন মালিক

গণভোট ও সরকারের অধ্যাদেশ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত দিলেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শরিফ ভূঁইয়া ও ড. শাহদীন মালিক


ছবিঃ সংগৃহীত

ঐকমত্য কমিশনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগের জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, সত্য একদিন বেরিয়ে আসবে। আর সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট এবং সরকারের অধ্যাদেশ জারির এখতিয়ার নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত দিয়েছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞরা।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ এনেছে বিএনপি। গণভোট ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মতবিরোধে তৈরি হয়েছে নতুন সংকট। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়েও দেখা দিয়েছে শঙ্কা। মেয়াদ শেষ হওয়া কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হতে হবে। আর কমিশনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সত্য একদিন বেরিয়ে আসবে।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সরকার অধ্যদেশ জারি করতে পারে কি না-- এ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত দিয়েছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞরা। ড. শরিফ ভূঁইয়া বলছেন, সরকার চাইলে পারবে আর ড. শাহদীন মালিক বলছেন, আইন পাস অথবা অধ্যাদেশ জারির এখতিয়ার নেই নির্বাহী বিভাগ প্রধানের।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শরিফ ভূঁইয়া বলেন, সরকারপ্রধানও জারি করতে পারে। সেটা সম্ভব। যদি সরকারপ্রধান জারি করতে চান, তবে সেটার আইনগত ব্যাখ্যা দেয়া যায়। আর সরকারপ্রধান জারি করতে না চাইলে রাষ্ট্রপতি করতে পারেন। এটা দুইভাবেই সম্ভব।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ শাহদীন মালিক বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তো প্রধানমন্ত্রীর মতো। তিনি নির্বাহী বিভাগের প্রধান। নির্বাহী বিভাগের প্রধান কখনওই আইন পাস করতে পারেন না। আমাদের ৩টি অঙ্গের একটির কাজ আইন পাস করা, আরেকটির বিচার করা এবং অন্যটির কাজ পরিচালনা করা। এমনটা হলে তো সুপ্রিম কোর্ট বলবে, আমরা আইন পাস করবো, অথবা আইনসভা বলবে, আমরা বিচার করবো। এগুলো তো হয় না! এগুলো তো আইনে নেই। এগুলো উদ্ভট ধারণা।’সংসদ কার্যকর হওয়ার আগে গণভোট আয়োজন আইনের প্রচলিত ধারণার পরিপন্থি বলেও মনে করেন শাহদীন মালিক।

১ নভে, ২০২৫

মঙ্গলবার ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি

মঙ্গলবার ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি


ছবি: নিজস্ব 

সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতিদের অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আগামী মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স রুমে ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার (১ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. আসিফ ইকবাল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা গেছে, ফুলকোর্ট সভায় অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি-পদোন্নতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

২৮ অক্টো, ২০২৫

জুলাই মাসের আলোচনা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিল ঐক্যমত্য কমিশন

জুলাই মাসের আলোচনা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিল ঐক্যমত্য কমিশন

ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন আজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জুলাই মাসের জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ার রূপরেখা তুলে ধরে সুপারিশ জমা দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা আজ দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সুপারিশগুলি হস্তান্তর করেন। সুপারিশগুলি হস্তান্তরের পর, অধ্যাপক আলী রিয়াজ দুপুর ২:০০ টার দিকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন।

২৩ অক্টো, ২০২৫

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতা ফয়জুল করিম যোগ দিলেন আওয়ামী লীগে

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতা ফয়জুল করিম যোগ দিলেন আওয়ামী লীগে


ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সরকারের সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. ফজলুর করিমের ছেলে এবং কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। বুধবার (২২ অক্টোবর) ফেসবুক লাইভে এসে তিনি নিজেই এই ঘোষণা দেন।

ফয়জুল করিম এর আগে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির উপ-দফতর সম্পাদক এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য ছিলেন। তিনি গত ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির সম্মেলনের আগের কমিটিরও সদস্য ছিলেন।

বিএনপি থেকে সরে এসে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ফয়জুল করিম বলেন,‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দল, ধর্মনিরপেক্ষ ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের প্রতীক। ৫ আগস্টের পর রাষ্ট্র সংস্কারের নামে সম্পদ ভোগের চেষ্টা ও স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় আনার প্রচেষ্টা চলছে। সেই প্রবণতা রোধ করতেই আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি। শেখ হাসিনাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক এবং জনগণের একমাত্র আশ্রয়স্থল।’ তবে তিনি কীভাবে বা কার মাধ্যমে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন, সে বিষয়ে কিছু জানাননি।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ফয়জুল করিমের এখন বিএনপিতে কোনো পদ নেই। তার মানসিক অবস্থাও স্বাভাবিক নয়। তাই তার আওয়ামী লীগে যোগদানের কোনো রাজনৈতিক গুরুত্ব নেই।’

১৭ অক্টো, ২০২৫

জুলাই যোদ্ধাদের দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামার ৫ম দফার সংশোধন

জুলাই যোদ্ধাদের দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামার ৫ম দফার সংশোধন

 

ছবি: সংগৃহীত 

জুলাই বীর যোদ্ধাদের সঙ্গে গতকালের আলোচনা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে 'জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫' এর অঙ্গীকারনামার ৫নং দফার পরিবর্তন করা হয়েছে৷ এর মাধ্যমে জুলাই বীর যোদ্ধাদের দাবির প্রতিফলন ঘটিয়ে প্রয়োজনীয় জরুরি সংশোধন করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আন্দোলনরত জুলাই বীর যোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন।

এ সময় কমিশনের সদস্যদের মধ্যে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় অধ্যাপক আলী রীয়াজ অঙ্গীকারনামার ৫নং দফার সংশোধিত ভাষ্যটি পাঠ করেন। এতে বলা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানপূর্ব বাংলাদেশে ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানকালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহিদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহিদ পরিবারকে এবং জুলাই আহতদের রাষ্ট্রীয় বীর , আহত জুলাই বীর যোদ্ধাদের যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান- যেমন মাসিক ভাতা, সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ব্যবস্থা এবং শহিদ পরিবার ও আহত বীর যোদ্ধাদের আইনগত দায়মুক্তি, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো।"

কমিশনের সহ-সভাপতি জানান, কমিশন এই অঙ্গীকারনামা বাস্তবায়নের ব্যাপারে সরকারকে সুস্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্টভাবে উপস্থাপন করবে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দল এবং ঐকমত্য কমিশনের কোনো মত পার্থক্য নেই বলেও জানান তিনি।