(সংবাদঃ বাসস)- বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান আজ বলেছেন, সাধারণ মানুষের দুর্দশা লাঘব করা বিচার বিভাগের সংস্কারের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং কমিশনের প্রধান লক্ষ্য হল কোর্ট ফি এবং মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমানো। .
জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (জেএটিআই) কমিশনের দ্বিতীয় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, "আমরা আমাদের কাজের অগ্রগতির একটি প্রাথমিক নির্দেশিকা তৈরি করেছি, এবং এটি কম কোর্ট ফি এবং মামলার ব্যাকলগ কমাতে আরও সক্রিয় বিচার ব্যবস্থার উপর গুরুত্ব দিবে।"
কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, "কমিশন এখনও অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট নির্দেশিকা পায়নি, তবে আমরা জনগণের মঙ্গলের কথা চিন্তা করছি" বলেছেন কমিশন চেয়ারম্যান। বিচারপতি মমিনুর রহমান বলেন, কমিশন ভবিষ্যতে নিম্ন আদালত, গণমাধ্যম, বিচার বিভাগ, সুপ্রিম কোর্ট ও জেলা আদালত আইনজীবী সমিতির স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের কাছে সুপারিশ পেশ করবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, “অন্তবর্তীকালীন সরকার আমাদের যে ৯০ দিনের সময় দিয়েছে তার মধ্যে বিচার বিভাগকে ‘সম্পূর্ণ সংস্কার’ করা কার্যত অসম্ভব, কারণ কমিশন শুধুমাত্র একটি সুপারিশকারী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে, আইন প্রণয়ন ও প্রশাসন খাতগুলোকে অবশ্যই বিচার বিভাগের সঙ্গে কাজ করতে হবে, যা রাষ্ট্রের শৃঙ্খলামূলক সংস্থাও, প্রকৃত রূপান্তরের জন্য।”
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে নীতি নির্ধারণ এবং বিচার ব্যবস্থায় আস্থার সংকটের মতো বিষয়গুলো যেমন প্রধান বিচারপতি নিজেই উল্লেখ করেছেন, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং এ বিষয়ে আরও আলোচনা হবে। আগামী সোমবার কমিটির তৃতীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
সরকার গত ৩ অক্টোবর গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিশনের সদস্যরা হলেন- হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এমদাদুল হক ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলী; সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মাসদার হোসেন, সিনিয়র আইনজীবী তানিম হোসেন শাওন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক সুপন এবং ছাত্র প্রতিনিধি। সরকার কর্তৃক নির্বাচিত হওয়া বাকি।
0 coment rios: