
আসামি রিপন দাস। ছবিঃ সংগৃহীত
আইনজীবী
সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার আসামি রিপন দাস চট্টগ্রাম আদালতে অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। গতকাল (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায়
অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ারের চেম্বারে এ জবানবন্দি রেকর্ড
করা হয়। এতে মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক মোট আসামির সংখ্যা দাঁড়াল তিনজনে।
চট্টগ্রাম
মেট্রোপলিটন পুলিশের (কোতয়ালী জোন) সহকারী কমিশনার ও মামলার তদন্তকারী
কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, রিমান্ডের মেয়াদ শেষে রিপন দাসকে আদালতে হাজির করা হয়। বিচারকের চেম্বারে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। রিপনের বক্তব্যের বরাত দিয়ে মাহফুজুর বলেন, ঘটনার দিন রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার সনাতন জাগরন জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে রিপন দাস আদালত চত্বরে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
পরে
রিপন সেবক কলোনি এলাকায় চলে গেলে সেখানে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। রিপন দাস বলেন, তিনি ১০ থেকে ১২
জনকে চিনতে পেরেছেন যারা হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল। তিনি নগরীর চকবাজার এলাকায় একটি ফার্মেসিতে কাজ করতেন বলে জানান মাহফুজুর।
৯
ডিসেম্বর, আরেক আসামি চন্দন দাস আদালতে স্বীকারোক্তি দেন, এরপর শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজীব
ভট্টাচার্য। চন্দন দাস এর আগে স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দিতে বলেন, তিনি রিপন দাস, ওম দাস ও
রণব মিলে সাইফুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন। অন্য হামলাকারীরা ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে সাইফুলকে মারধর করে। চন্দন আরও দাবি করেছেন যে তিনি হামলাকারীদের
কয়েকজনকে চেনেন না।
২৬
নভেম্বর, প্রাক্তন ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে জামিন নামঞ্জুর করার পরে একটি ভ্যানে করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অনুসারীরা গাড়ি অবরোধ করে তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ভাঙতে লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড
ব্যবহার করে, যার ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে
সংঘর্ষ হয়।
এরপর
চট্টগ্রাম আদালত চত্বরের বিপরীতে এক গলিতে নৃশংসভাবে
হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় আইনজীবী সাইফুলকে। ঘটনার ফুটেজে দেখা যায়, হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন, একটি ধূসর হেলমেট, একটি কমলা রঙের শার্ট এবং কালো প্যান্ট পরা, একটি ছুরি চালাচ্ছে। রিপন দাসকে নীল রঙের শার্ট, জিন্স ও লাল হেলমেট
পরা এবং অস্ত্র হাতে দেখা গেছে।
৩০
নভেম্বর, সাইফুলের বাবা ৩১ জনকে আসামি
করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, এবং তার ভাই খান-ই আলম ১১৬
জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে ভাঙচুর ও হামলার জন্য
আরেকটি মামলা করেন।