আদালত প্রাঙ্গণ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
আদালত প্রাঙ্গণ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

 বিচারপ্রার্থীদের সহায়তার জন্য সুপ্রীম কোর্ট হেল্প ডেস্ক চালু করেছে

বিচারপ্রার্থীদের সহায়তার জন্য সুপ্রীম কোর্ট হেল্প ডেস্ক চালু করেছে

সুপ্রিম কোর্ট বুধবার সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার অফিসের বিভিন্ন বিভাগ থেকে পরিষেবা পেতে অসুবিধার সম্মুখীন বিচার প্রার্থীদের সহায়তা করার জন্য একটি হেল্প ডেস্ক চালু করেছে। বুধবার থেকে চালু হওয়া হেল্প ডেস্ক, বিচার প্রার্থীদের সহায়তা প্রদান করবে। বিচার প্রার্থীরা রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে সমস্যার সম্মুখীন হলে সহায়তার জন্য+৮৮০১৩১৬১৫৪২১৬ ডায়াল করতে পারেন।

সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একজন মনোনীত কর্মকর্তা সমস্যা সমাধানের নির্দেশনা দেওয়ার জন্য সকল কর্মদিবসে সকাল  ১০:০০টা থেকে বিকাল ৪:০০ টা পর্যন্ত কল গ্রহণ করবেন।

এই উদ্যোগটি ১৮ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের জারি করা নির্দেশের প্রেক্ষিতে একটি বৃহত্তর সংস্কারের অংশ। প্রধান বিচারপতির ১২-দফা নির্দেশনায় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মচারীদের হয়রানি এবং আর্থিক অনিয়ম সহ অসদাচরণ মোকাবেলা করার কথা বলা হয়েছে। এটি সহকারী, ডেপুটি, এবং অতিরিক্ত নিবন্ধকদের পাশাপাশি রেজিস্ট্রার জেনারেলের জন্য প্রযোজ্য।

নির্দেশাবলীর লক্ষ্য হল সমস্ত অননুমোদিত আর্থিক লেনদেনের অবসান ঘটানো, সময়মতো সেবা প্রদান নিশ্চিত করা এবং ন্যায়বিচার প্রত্যাশীদের যেকোনো ধরনের দুর্ব্যবহার থেকে রক্ষা করা। সুপ্রিম কোর্ট আনুমানিক ২,৫০০ জন স্টাফ সদস্যকে নিযুক্ত করেছে, যা তার রেজিস্ট্রি কার্যক্রমের সকল স্তরে সেবা নিশ্চিত করে।

রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

 শিগগিরই আইসিটি পুনর্গঠন করা হবে: প্রধান কৌঁসুলি মোঃ তাজুল ইসলাম

শিগগিরই আইসিটি পুনর্গঠন করা হবে: প্রধান কৌঁসুলি মোঃ তাজুল ইসলাম

ছবি- বাসস

(সংবাদ- বাসস) : আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান প্রসিকিউটর মোঃ তাজুল ইসলাম আজ বলেন, ট্রাইব্যুনাল শীঘ্রই পুনর্গঠন করা হবে। তিনি বাসসকে বলেন, "আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পুনর্গঠন হতে পারে। এ বিষয়ে আমি গত সপ্তাহে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছি।"

তিনি আরও বলেন, "ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন না হলে প্রসিকিউশন অনেক প্রয়োজনীয় আদেশ পেতে পারছে না। উপদেষ্টা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।"

প্রধান কৌঁসুলি আরও বলেন, বিগত আওয়ামী লীগের নির্দেশে যেসব গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে তার তথ্য ও প্রমাণ চেয়ে সব গণমাধ্যম, বেসরকারি ও সরকারি হাসপাতাল, সিভিল সার্জন অফিস, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। জুলাই ও আগস্টে সরকার।

তিনি বলেন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ সংগ্রহ করতে আইসিটি টিম হাসপাতাল পরিদর্শন করছে। তিনি এ বিষয়ে সকলকে তথ্য দিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এই মুহুর্তে ট্রাইব্যুনালে কোন বিচারক নেই, কারণ সাবেক চেয়ারম্যান আবু আহমেদ জমাদার ১৩ জুলাই অবসরে যান, অন্য একজন বিচারপতিকে হাইকোর্টে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।

হত্যা মামলায় হাসিনাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে  ১৫ অক্টোবরে রিপোর্ট দাখিলের আদেশ

হত্যা মামলায় হাসিনাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ১৫ অক্টোবরে রিপোর্ট দাখিলের আদেশ

ছবিঃ সংগৃহীত 

(সংবাদঃ বাসস) : রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ১৯ জুলাই মুদি ব্যবসায়ী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আজ প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকা মহানগর হাকিম জাকি-আল-ফারাবী এ তারিখ ধার্য করেন। মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আমির হামজা শাতিল ১৩ আগস্ট শেখ হাসিনা ও অন্যদের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়েরের আবেদন করেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর এটাই ছিল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম হত্যা মামলা। অন্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন-উর-রশিদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার মো. যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বিচারপতি মোঃ রেজাউল হককে অবকাশকালীন বিচারক মনোনীত করেছেন প্রধান বিচারপতি

বিচারপতি মোঃ রেজাউল হককে অবকাশকালীন বিচারক মনোনীত করেছেন প্রধান বিচারপতি


৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ অক্টোবর অবকাশকালীন আপিল বিভাগের মামলা সংক্রান্ত জরুরি বিষয়গুলো নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি মোঃ রেজাউল হককে মনোনীত করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার এসকে মোঃ আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিচারপতি মোঃ রেজাউল ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ অক্টোবর অবকাশকালীন আপিল বিভাগের মামলা সংক্রান্ত জরুরি বিষয়গুলো নিষ্পত্তির জন্য শুনানি পরিচালনা করবেন। এদিকে অবকাশকালীন সময়ে আপিল বিভাগের অফিস সময় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

৫টি মামলায় খালাস পেয়েছেন খালেদা জিয়া

৫টি মামলায় খালাস পেয়েছেন খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘ভুয়া জন্মদিন’ উদযাপনের অভিযোগে দায়ের করা একটি এবং যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থন করার অভিযোগে দায়ের করা মামলাসহ পাঁচটি পৃথক মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মাহবুবুল হকের আদালত চারটি মামলায় খালাসের আদেশ দেন এবং মঙ্গলবার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালত একটি মামলায় তাকে খালাস দেন।

এদিন মামলাগুলো শুনানির জন্য ধার্য ছিল। তবে বাদী আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের খারিজ করে দেওয়া হয় এবং আসামি খালেদা জিয়াকে খালাস দেওয়া হয়। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ।

৩০ আগস্ট, ২০১৬, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে "ভুয়া জন্মদিন" পালনের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, বিভিন্ন সূত্রে খালেদা জিয়ার পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন জন্মতারিখ পাওয়া গেলেও কোনোটিই ১৫ আগস্ট নয়। তা সত্ত্বেও তিনি ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় শোক দিবসে তার জন্মদিন পালন করে আসছেন ১৯৯৬ সাল থেকে। অভিযোগে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য তিনি এই দিনে তার জন্মদিন পালন করেন।

৩ নভেম্বর, ২০১৬, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থন করার অভিযোগে বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিক একটি মামলা দায়ের করেন। ২৫ জানুয়ারী, ২০১৭ এ, এবি সিদ্দিকী খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগ সম্পর্কে অপবাদের অভিযোগে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে ছাত্রদলের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। জেনারেল জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা জনগণকে যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে উন্নয়নের নামে দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ আনা হচ্ছে। অভিযোগপত্রে অভিযোগ করা হয়েছে যে তার বক্তব্য মানহানিকর।

মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি এবি সিদ্দিকী খালেদা জিয়া ও বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ৩ নভেম্বর, ২০১৬, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আরেকটি মানহানি ও হত্যার হুমকির মামলায় আসামি করা হয়।

সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আওয়ামী লীগের ১৮ সাবেক মন্ত্রী, ৮ এমপির ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আদেশ দিয়েছেন আদালত

আওয়ামী লীগের ১৮ সাবেক মন্ত্রী, ৮ এমপির ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আদেশ দিয়েছেন আদালত

দুর্নীতির অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক ১৮ মন্ত্রী ও আটজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঢাকার একটি আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক দুটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আশ-শামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের মধ্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রাথমিক প্রতিমন্ত্রী মো.  এবং গণশিক্ষা মোঃ জাকির হোসেন, সাবেক প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ, সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোঃ এনামুল হক, সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ড.  টিপু মুন্সী, সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড.  যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিবুর রহমান, সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন এবং সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

এছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ, কাজী নাবিল আহমেদ, শহীদুল ইসলাম বকুল, একেএম সারোয়ার জাহান, শেখ আফিল উদ্দিন, মেহের আফরোজ, আবু সাঈদ আল মাহমুদ ও শেখ হেলাল উদ্দিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এর আগে দুদকের উপ-পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ১০ সাবেক মন্ত্রী ও তিন সংসদ সদস্যের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিকালে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম মামলার শুনানি করেন।  শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।  

অপর একটি আবেদনে দুদকের উপ-পরিচালক মো: মোস্তাফিজুর রহমান আরও আট সাবেক মন্ত্রী ও পাঁচ সংসদ সদস্যের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন।  আদালতে শুনানি করেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।  শুনানি শেষে আদালত তাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বিচার বিভাগে বড় রদবদল: নিম্ন আদালতের ৮১ জন বিচারকের বদলি

বিচার বিভাগে বড় রদবদল: নিম্ন আদালতের ৮১ জন বিচারকের বদলি

ছবি- সংগৃহীত 

বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮১ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে বদলির মাধ্যমে বিচার বিভাগে বড় রদবদল এনেছে সরকার। শুক্রবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিচার বিভাগ থেকে পৃথক চারটি প্রজ্ঞাপন জারি করে এসব বদলির ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে নতুন কর্মস্থলে নিয়োগ বা বদলি করা হয়েছে। পরিবর্তনের অংশ হিসেবে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (জেলা জজ) (আইন ও বিচার বিভাগ) বেগম উম্মে কুলসুমকে আইন কমিশনের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আইন কমিশনের বর্তমান সচিব শেখ গোলাম মাহবুবকে কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক করা হয়েছে। এই দায়িত্ব বণ্টন ৩ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে। এই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে মোট ২১ জন বিচারককে বদলি করা হয়েছে।

২য় প্রজ্ঞাপনে বিভিন্ন জেলায় কর্মরত মোট ৪৪ জন বিচারককে নতুন কর্মস্থলে পুনর্নিযুক্ত করা হয়েছে। তারাও ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করবে। ৩য় প্রজ্ঞাপনে ফেনী জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান খানকে চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৪র্থ প্রজ্ঞাপনে ১৫ জনকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সোমবার, ১২ আগস্ট, ২০২৪

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নথি সরানোর চেষ্টা, আটকালেন দুই আইনজীবী

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নথি সরানোর চেষ্টা, আটকালেন দুই আইনজীবী

ছবি- সংগৃহীত 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন থেকে কিছু নথি নিয়ে যাওয়ার খবর শুনে সেইসব নথি আটকানোর কথা জানিয়েছেন দুই আইনজীবী। আজ সোমবার (১২ আগস্ট) ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার অফিস এবং প্রসিকিউশন অফিসে চেষ্টা চালানো হয়।  তবে প্রসিকিউশনের কর্মকর্তারা জানান, তারা এগুলো তালা দিয়ে রেখেছেন।   

সোমবার (১২ আগস্ট) আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আজকে সকালে খবর পেলাম, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন থেকে কিছু ডকুমেন্ট কিছু লোকজন নিয়ে যাচ্ছেন। আমি এবং আবদুস সাত্তার পালোয়ান ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার অফিস এবং প্রসিকিউশন অফিসে গেলাম। সেখানে জানতে পারলাম এ রকম কিছু ঘটনা ঘটেছে। সাথে সাথে আমরা থামালাম এবং ডকুমেন্টগুলো যার যার রুমে পাঠিয়ে যিনি অফিসের দায়িত্বে আছেন (আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগকৃত কর্মকর্তা) তার কাছে চাবি রেখে এসেছি। বলেছি এগুলো রাষ্ট্রীয় সম্পদ। সরকারের নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এখান থেকে কোনো নথি বের হবে না বা ঢুকবে না।’

আবদুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, ‘ধানমণ্ডিতে তদন্ত সংস্থার অফিসের নথিও সংরক্ষণ করতে হবে। কোনো কর্মকর্তা যেন নিয়ে না যান। এটা সরকারের কাছে আমাদের দাবি।’

স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালের ২৫ মার্চ। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভূত করে আবার একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। এখন একটি ট্রাইব্যুনালে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১) বিচারকাজ চলছে।

 

হাইকোর্টে ৮ বেঞ্চ গঠন, সোমবার থেকে বিচারকাজ চলবে সীমিত পরিসরে

হাইকোর্টে ৮ বেঞ্চ গঠন, সোমবার থেকে বিচারকাজ চলবে সীমিত পরিসরে

ছবি- সংগৃহীত 

সোমবার থেকে সীমিত পরিসরে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আটটি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। রোববার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে, ১২ আগস্ট সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম সীমিত পরিসরে পরিচালনার জন্য নিম্নোক্ত বেঞ্চগুলো গঠন করা হচ্ছে। এসব বেঞ্চের মধ্যে ৫টি দ্বৈত বেঞ্চ ও ৩টি একক বেঞ্চ রয়েছে। 

বেঞ্চগুলো হলো- বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মোঃ বজলুর রহমান (রিট), বিচারপতি মোঃ মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মোঃ বশির উল্লাহ (সিভিল), বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী (কোম্পানি বেঞ্চ), বিচারপতি মোঃ ইকবাল কবির।  এবং বিচারপতি মোঃ রিয়াজ উদ্দিন খান (রিট), বিচারপতি মোঃ কামরুল হোসেন মোল্লা (দেওয়ানী ও ফৌজদারী), বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি একেএম রবিউল হাসান (ফৌজদারী), বিচারপতি মোঃ আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মোঃ আলী রেজা (ফৌজদারী)।  , এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথ (সিভিল)।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে অসহযোগ কর্মসূচির মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনাক্রমে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান গত বুধবার (৭ আগস্ট) এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কোর্ট প্রশাসন।


রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০২৪

বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বিক্ষোভ করছেন ঢাকার নিম্ন আদালতে

বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বিক্ষোভ করছেন ঢাকার নিম্ন আদালতে


ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে‌ নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। এ সময় আদালতপাড়ায় আওয়ামী সরকার আমলের একজন আইন কর্মকর্তাকে দেখা গেলে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তাঁকে ধাওয়া করে মারধর করেন।

আজ রোববার সকালে পুরান ঢাকার নিম্ন আদালতে এ ঘটনা ঘটে। আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা সকালে ঢাকা আইনজীবী সমিতি দখল করতে পারে এমন আশঙ্কায় বিএনপিপন্থি শতাধিক আইনজীবী ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে সমবেত হন। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।

এদিকে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের দেখা যায়নি। সরেজমিনে দেখা গেছে, আদালতে গোলযোগের আশঙ্কায় আদালতের নিরাপত্তায় সকাল ৯টা ১০মিনিটে সেনাবাহিনীকে আসে। এ সময় কোর্ট এলাকায় আওয়ামী লীগ আমলের বিকাশ নামে এক আইন কর্মকর্তাকে দেখা গেলে বিএনপিপন্থীরা তাঁকে ধাওয়া দেয় এবং মারধর করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা সমিতির সামনে বিক্ষোভ করেন।