সর্বশেষ

২৩ অক্টো, ২০২৫

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতা ফয়জুল করিম যোগ দিলেন আওয়ামী লীগে

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতা ফয়জুল করিম যোগ দিলেন আওয়ামী লীগে


ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সরকারের সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. ফজলুর করিমের ছেলে এবং কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। বুধবার (২২ অক্টোবর) ফেসবুক লাইভে এসে তিনি নিজেই এই ঘোষণা দেন।

ফয়জুল করিম এর আগে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির উপ-দফতর সম্পাদক এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য ছিলেন। তিনি গত ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির সম্মেলনের আগের কমিটিরও সদস্য ছিলেন।

বিএনপি থেকে সরে এসে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ফয়জুল করিম বলেন,‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দল, ধর্মনিরপেক্ষ ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের প্রতীক। ৫ আগস্টের পর রাষ্ট্র সংস্কারের নামে সম্পদ ভোগের চেষ্টা ও স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় আনার প্রচেষ্টা চলছে। সেই প্রবণতা রোধ করতেই আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি। শেখ হাসিনাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক এবং জনগণের একমাত্র আশ্রয়স্থল।’ তবে তিনি কীভাবে বা কার মাধ্যমে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন, সে বিষয়ে কিছু জানাননি।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ফয়জুল করিমের এখন বিএনপিতে কোনো পদ নেই। তার মানসিক অবস্থাও স্বাভাবিক নয়। তাই তার আওয়ামী লীগে যোগদানের কোনো রাজনৈতিক গুরুত্ব নেই।’

২২ অক্টো, ২০২৫

শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: সাবেক এমপি হাবিবসহ ৪৪ জন খালাস

শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: সাবেক এমপি হাবিবসহ ৪৪ জন খালাস


ছবি- নিজস্ব 

২০০২ সালে সাতক্ষীরায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় সাবেক এমপি হাবিব উল ইসলাম হাবিবসহ ৪৪ জনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (২২ অক্টোবর) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

আদালতে আসামিদের পক্ষ ছিলেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মজিবুর রহমান। রায়ে আদালত বলেন, বিচার প্রক্রিয়া ছিল ত্রুটিপূর্ণ। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, কোনো ঘটনা না ঘটলেও বিগত সরকার আদালতকে ব্যবহার করে সাজা দেয়া হয়েছিল। এর আগে একই ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলাতেও খালাস পান আসামিরা।

এর আগে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট শেখ হাসিনা গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা আরেকটি মামলায় হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে ১০ বছরের সাজা থেকে খালাস দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদি গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে দেখতে যান। সড়কপথে যশোরে ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সে সময় হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা করা হয়। 

২০ অক্টো, ২০২৫

অনলাইন জুয়ায় আসক্ত নাতি, টাকা না পেয়ে দাদিকে গলা কেটে হত্যা

অনলাইন জুয়ায় আসক্ত নাতি, টাকা না পেয়ে দাদিকে গলা কেটে হত্যা


ছবি: সংগৃহীত 

টাকা চেয়ে না পেয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে ষাটোর্ধ্ব দাদিকে গলা কেটে হত্যা করেছে নাতি অনিক হাসান হৃদয়। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার খেদমতপুর ইউনিয়নের বড় মজিদপুর ঘেগারতল গ্রামে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিনিয়র জুডিসিয়াল আমলী ম্যাজিস্ট্রেট মন্তাজ আলীর আদালতে তোলা হলে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করেন উনিশ বছর বয়সী এই কিশোর।
নিহত আকলিমা বেগম ওই এলাকার মো আব্দুল হাকিম মিয়ার স্ত্রী। গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে তার গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার বাড়ি থেকে পালিয়ে যান হৃদয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে গত রোববার সাভারের হেমায়েতপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

জানা গেছে, এ হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা প্রথমে কোনো ক্লু খুঁজে বের করতে পারেননি। তবে ঘটনার দিন সকালে নাতি অনিক হাসান হৃদয় সটকে পরায় তাকে ঘিরে সন্দেহ বাড়ে। ওই দিনই অজ্ঞাতনামা আসামি করে নিহতের ভাই রায়পুর ইউপির নখারপাড়ার ওবায়দুল হত্যা মামলা করেন।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে। সকালে প্রতিবেশীরা ঘর থেকে রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

ঘটনার পর পীরগঞ্জ থানা পুলিশ ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার সাভার এলাকা থেকে নিহতের নাতি অনিক হাসান হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে। তিনি বড়ঘোলা গ্রামের রাশেদুল ইসলামের ছেলে। পরে গ্রেপ্তার হৃদয়ের তথ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি সোমবার সকালে বড় মজিদপুরের রফিকুলের পরিত্যক্ত রাইস মিল থেকে উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, একই বাড়ি হলেও স্বামী আব্দুল হাকিম ও তার স্ত্রী আকলিমা বেগম আলাদা ঘরে রাত্রীযাপন করতো। শনিবার ভোর রাতের দিকে নিহতের স্বামী আব্দুল হাকিম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরের বাইরে এলে স্ত্রীর ঘরের দরজা খোলা দেখতে পায়। তিনি ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে গলাকাটা অবস্থায় স্ত্রীর নিথর দেহ খাটের ওপরে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করতে থাকেন। তার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। খবর পেয়ে দু’ছেলে রাশেদুল ও শাহিন ছুটে আসেন।
নিহতের দুই ছেলে রাশেদুল ও শাহিন জানান, ৮/১০ বছর আগে বড় মজিদপুরে পৃথক বাড়ি নির্মাণ করে বাবা-মা সেখানে বসবাস করেন। আমরা বাস্তুভিটা বড়ঘোলায় দুই ভাই বসবাস করি।  

পীরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, আসামি হৃদয় শুক্রবার রাত ১টার দিকে ঢাকা থেকে হানিফ পরিবহনের বাসযোগে খেজমতপুরে নেমে পড়ে। রাতেই দাদা-দাদি গ্রামে আসে। দাদি আকলিমার সাথে রাতের খাবারের পর খোশগল্পের এক পর্যায়ে তর্কে জড়িয়ে পড়লে দাদিকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেপ্তার হৃদয়। জবানবন্দিতে হৃদয় তার দাদির কাছে ১০ হাজার টাকা চেয়েছিল। টাকা চেয়ে না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ছুরিকাঘাতে দাদিকে হত্যা করে সে পালিয়ে যায়। এই কিশোর অনলাইন জুয়ায় আসক্ত বলেও জানান তিনি।

১৯ অক্টো, ২০২৫

পর্নোগ্রাফি-সম্পর্কিত গ্রুপ, অ্যাডমিনদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত

পর্নোগ্রাফি-সম্পর্কিত গ্রুপ, অ্যাডমিনদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত


ছবি: সংগৃহীত 

আজ আদালত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পর্নোগ্রাফি প্রচার এবং অবৈধ আর্থিক লেনদেনের সাথে জড়িত অনলাইন গ্রুপ, তাদের প্রশাসক এবং প্রতারণামূলক নেটওয়ার্কগুলিকে চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন এবং এই বিষয়ে নিয়মিত মামলা দায়ের করতে বলেন। ১৮ অক্টোবর একটি সংবাদমাধ্যমে "টেলিগ্রামে বিক্রি হওয়া হাজার হাজার তরুণী নারীর নগ্ন ভিডিও" শিরোনামে একটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর আদালত এই আদেশ দেন। প্রতিবেদনটি বেশ কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালেও প্রকাশিত হয় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং আলোচিত হয়।

জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বিবেচনা করে আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০(১) (গ) ধারার অধীনে প্রতিবেদনটি আমলে নেয় এবং বিচারিক বিবেচনার জন্য গ্রহণ করে, আদালত তার আদেশে বলেন। আদালত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার ও বিশেষ অপরাধ বিভাগের উপ-কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, অনলাইনে পর্নোগ্রাফি-সম্পর্কিত গোষ্ঠী, তাদের প্রশাসক এবং আর্থিক লেনদেনে জড়িত প্রতারক নেটওয়ার্কগুলিকে চিহ্নিত করার জন্য এবং প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একজন দক্ষ ও দক্ষ তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করুন।

আদালত তদন্তকালে প্রকাশিত তথ্যের আলোকে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশও দিয়েছেন এবং তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রতি ১৫ দিন অন্তর অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

হাইকোর্টের কনডেম সেলের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানি করবে সুপ্রিম কোর্ট ২৮ অক্টোবর

হাইকোর্টের কনডেম সেলের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানি করবে সুপ্রিম কোর্ট ২৮ অক্টোবর


ছবি: বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট  

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আজ ২৮ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্জন কারাগারে রাখার নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছে।

বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আবেদনকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। হাইকোর্ট ১৩ মে, ২০২৪ তারিখে রায় দেন, সকল আপিল নিষ্পত্তির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কনডেম সেলগুলিতে আটকে রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

চট্টগ্রাম, সিলেট এবং কুমিল্লা কারাগারে কনডেম সেলগুলিতে রাখা তিনজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির পক্ষে ২০২১ সালে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।  পরবর্তীতে হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে ১,৯৮৭ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে লিখিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় এবং ৫ এপ্রিল, ২০২২ তারিখে একটি রুল জারি করে। পরবর্তীতে, হাইকোর্ট তার চূড়ান্ত রায়ে এই নিয়মকে চূড়ান্ত করে।

হাইকোর্টের রায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির আগে বলেছিলেন যে দোষীদের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দী বলা যাবে না এবং তাদের সাজা চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত তাদের কনডেমড সেলে রাখা যাবে না।

"একজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কেবল তখনই নির্জন কারাগারে রাখা যেতে পারে যখন তাদের সমস্ত আপিল, যার মধ্যে করুণার আবেদনও অন্তর্ভুক্ত, নিষ্পত্তি করা হয় এবং সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়," তিনি আরও বলেন।

পরে রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে একটি আবেদন দায়ের করে। আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত পরবর্তীতে রায় স্থগিত করে এবং বিষয়টি এখন শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে এসেছে।

১৭ অক্টো, ২০২৫

জুলাই যোদ্ধাদের দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামার ৫ম দফার সংশোধন

জুলাই যোদ্ধাদের দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামার ৫ম দফার সংশোধন

 

ছবি: সংগৃহীত 

জুলাই বীর যোদ্ধাদের সঙ্গে গতকালের আলোচনা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে 'জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫' এর অঙ্গীকারনামার ৫নং দফার পরিবর্তন করা হয়েছে৷ এর মাধ্যমে জুলাই বীর যোদ্ধাদের দাবির প্রতিফলন ঘটিয়ে প্রয়োজনীয় জরুরি সংশোধন করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আন্দোলনরত জুলাই বীর যোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন।

এ সময় কমিশনের সদস্যদের মধ্যে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় অধ্যাপক আলী রীয়াজ অঙ্গীকারনামার ৫নং দফার সংশোধিত ভাষ্যটি পাঠ করেন। এতে বলা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানপূর্ব বাংলাদেশে ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানকালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহিদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহিদ পরিবারকে এবং জুলাই আহতদের রাষ্ট্রীয় বীর , আহত জুলাই বীর যোদ্ধাদের যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান- যেমন মাসিক ভাতা, সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ব্যবস্থা এবং শহিদ পরিবার ও আহত বীর যোদ্ধাদের আইনগত দায়মুক্তি, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো।"

কমিশনের সহ-সভাপতি জানান, কমিশন এই অঙ্গীকারনামা বাস্তবায়নের ব্যাপারে সরকারকে সুস্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্টভাবে উপস্থাপন করবে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দল এবং ঐকমত্য কমিশনের কোনো মত পার্থক্য নেই বলেও জানান তিনি।

শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান ভিপি-এজিএস পদে, জিএসে আম্মার জয়ী

শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান ভিপি-এজিএস পদে, জিএসে আম্মার জয়ী

ছবি: সংগৃহীত 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভিপি (সহসভাপতি) পদে বিজয়ী হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জয়লাভ করেছেন ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন আম্মার। সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে বিজয়ী হয়েছেন সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী এস এম সালমান সাব্বির।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভিপি (সহসভাপতি) পদে বিজয়ী হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জয়লাভ করেছেন ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন আম্মার। সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে বিজয়ী হয়েছেন সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী এস এম সালমান সাব্বির।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষে সব কেন্দ্রের ভোট গণনা করে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ভিপি পদে মোস্তাকুর রহমান জাহিদ পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৭ ভোট, যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত শেখ নূর উদ্দীন আবির পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৭ ভোট। দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটের ব্যবধান দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ২৯০।

অন্যদিকে জিএস পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার পেয়েছেন ১১ হাজার ৫৩৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, শিবির সমর্থিত ফজলে রাব্বি ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৫ হাজার ৭২৯ ভোট, যা থেকে আম্মারের ব্যবধান দাঁড়ায় ৫ হাজার ৮০৮ ভোটে।

সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল তুলনামূলকভাবে ঘনিষ্ঠ। এই পদে শিবির সমর্থিত সালমান সাব্বির ৬ হাজার ৯৭১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৪১ ভোট। ব্যবধান মাত্র ১ হাজার ৩০ ভোট।

নির্বাচনে ১০টি প্যানেলসহ রাকসুর ২৩ পদে ২৪৭ জন, হল সংসদে ১৫ পদে ১৭টি হলে ৫৯৭ প্রার্থী এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫ পদে ৫৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। রাকসুতে ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন ও এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন ও ছাত্র ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এর মধ্যে ছয়টি নারী হলে ভোট পড়ার হার ৬৩ দশমিক ২৪ শতাংশ।