আদালত প্রাঙ্গণ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
আদালত প্রাঙ্গণ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

৯ নভে, ২০২৫

৫ মামলায় হাইকোর্টে আইভীর জামিন

৫ মামলায় হাইকোর্টে আইভীর জামিন

ছবি: সংগৃহীত 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় হত্যাসহ পৃথক পাঁচ মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তার জামিন প্রশ্নে রুল যথাযথ ঘোষণা করে রোববার (৯ নভেম্বর) বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী। এর মধ্যে তিনটি হত্যা মামলা ও বাকী দুটি হত্যাচেষ্টা মামলা।

গত ৯ মে ভোর রাত ৩টার দিকে শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত চুনকা কুটির থেকে আইভীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বিভিন্ন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

৩ নভে, ২০২৫

'বিকৃত ছবি ও অশালীন তথ্য’ ছড়ানোয় ঢাবি শিক্ষক মোনামীর মামলা: যারা রয়েছেন আসামির তালিকায়

'বিকৃত ছবি ও অশালীন তথ্য’ ছড়ানোয় ঢাবি শিক্ষক মোনামীর মামলা: যারা রয়েছেন আসামির তালিকায়

ছবি: সংগৃহীত 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর শেহরীন আনিম ভূইয়া মোনামী তার সম্পাদিত ও বিকৃত ছবি ফেসবুকে পোস্ট এবং সেগুলোতে কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগে সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করেছেন।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগ থানায় চারজনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে এই মামলা করেন তিনি। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন: সাংবাদিক ও অ্যাকটিভিস্ট মুজতবা খন্দকার, লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট মহিউদ্দিন মোহাম্মদ, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নিরব হোসাইন ও আশফাক হোসাইন ইভান। এজাহারটিতে আসামিদের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের স্ক্রিনশট সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

মামলা করার সময় ঢাবি শিক্ষক শেহরীন আনিম ভূইয়া মোনামীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক মো. জাকারিয়া, কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক উম্মে সালমা এবং মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম ঝুমা। 

জানা গেছে, অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় অধিকতর তদন্ত ও দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করার জন্য মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

মামলা দায়েরের পর সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শেহরীন আনিম ভূইয়া মোনামী বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই, আমি একজন সাধারণ শিক্ষক। সেখানে আমাকে নিয়ে গত এক বছর ধরে এমন আচরণ করা হচ্ছে, যার কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। মামলাটা একদম শেষ মুহূর্তে এসে করেছি।’

তিনি আরও বলেন, যখনই কোনো নারী সত্যের পথে এগিয়ে যেতে চায়, তখন তাকে দমানোর জন্য এমন যৌন হয়রানি (সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট) এবং অনলাইন বুলিং করা হয়। এই মামলাটি একটি বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অজ্ঞাতনামা আসামিও রাখা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে একই ধরনের কাজ করলে তাদের নামও এই মামলায় যুক্ত করা যায়।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে যুবদল নেতার মানহানি মামলা

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে যুবদল নেতার মানহানি মামলা


ছবি: সংগৃহীত 

বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্যের অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বিরুদ্ধে আদালতে মানহানি মামলার আবেদন করা হয়েছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার সিএমএম আদালতে এই মামলার আবেদন করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাজী মুকিতুজ্জামান। ইতোমধ্যে মামলার আবেদন গ্রহণ করে ডিবিকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন।

এর আগে রোববার (২ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াতে ইসলামীর ধর্মীয় ফ্যাসিবাদ আর বিএনপির চাঁদাবাজির সঙ্গী জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) হতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, এখনও জোটের কোনো চিন্তা আমরা করিনি। তবে আমরা বলেছিলাম বিএনপি যদি দুর্নীতি, চাঁদাবাজ-সন্ত্রাস ছেড়ে আসে এবং সংস্কারের পক্ষে থাকে-তাহলে সেটা আমরা ভেবে দেখবো। আর জামায়াত ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের জায়গা থেকে সরে আসলে সেটাও আমরা ভেবে দেখবো। তবে আমাদের মূল উদ্বেগের জায়গা হচ্ছে দুর্নীতি-সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি।

২ নভে, ২০২৫

আজ আপিল বিভাগে দুজন প্রধান বিচারপতি!

আজ আপিল বিভাগে দুজন প্রধান বিচারপতি!

ছবি:সংগৃহীত 

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বসে বিচারকার্য পরিচালনা পর্যবেক্ষণ করেন নেপালের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ মান সিং রাউত। রোববার (২ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে বসে তিনি বিচারকার্য পরিচালনা ও পর্যবেক্ষণ করেন।

আপিল বিভাগে বর্তমানে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি চলছে। ঐতিহাসিক এ মামলার শুনানি পর্যবেক্ষণ করেন নেপালের প্রধান বিচারপতি। বিচারকাজে শুরুর পুর্বেই নেপালের প্রধান বিচারপতিকে পরিচয় করিয়ে দেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। 

গতকাল শনিবার ঢাকায় আসেন নেপালের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ মান সিং রাউতের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলের রয়েছেন বিচারপতি শ্রীমতী স্বপ্না প্রধান মল্লা, বিচারপতি বিনোদ শর্মা এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান রেজিস্ট্রার বিমল পাউডেল।

প্রতিনিধিদলকে বিমানবন্দরে ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী স্বাগত জানান।  বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের আমন্ত্রণে নেপালের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে সফর করবে।

১৯ অক্টো, ২০২৫

হাইকোর্টের কনডেম সেলের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানি করবে সুপ্রিম কোর্ট ২৮ অক্টোবর

হাইকোর্টের কনডেম সেলের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানি করবে সুপ্রিম কোর্ট ২৮ অক্টোবর


ছবি: বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট  

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আজ ২৮ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্জন কারাগারে রাখার নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছে।

বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আবেদনকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। হাইকোর্ট ১৩ মে, ২০২৪ তারিখে রায় দেন, সকল আপিল নিষ্পত্তির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কনডেম সেলগুলিতে আটকে রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

চট্টগ্রাম, সিলেট এবং কুমিল্লা কারাগারে কনডেম সেলগুলিতে রাখা তিনজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির পক্ষে ২০২১ সালে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।  পরবর্তীতে হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে ১,৯৮৭ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে লিখিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় এবং ৫ এপ্রিল, ২০২২ তারিখে একটি রুল জারি করে। পরবর্তীতে, হাইকোর্ট তার চূড়ান্ত রায়ে এই নিয়মকে চূড়ান্ত করে।

হাইকোর্টের রায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির আগে বলেছিলেন যে দোষীদের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দী বলা যাবে না এবং তাদের সাজা চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত তাদের কনডেমড সেলে রাখা যাবে না।

"একজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কেবল তখনই নির্জন কারাগারে রাখা যেতে পারে যখন তাদের সমস্ত আপিল, যার মধ্যে করুণার আবেদনও অন্তর্ভুক্ত, নিষ্পত্তি করা হয় এবং সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়," তিনি আরও বলেন।

পরে রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে একটি আবেদন দায়ের করে। আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত পরবর্তীতে রায় স্থগিত করে এবং বিষয়টি এখন শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে এসেছে।