২৭ অক্টো, ২০২৫

টিউশনে গিয়ে জবির নারী শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

টিউশনে গিয়ে জবির নারী শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ


ছবি: সংগৃহীত 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গেন্ডারিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

(২৬ অক্টোবর) রাত ১০টা ৫০ মিনিটে গেন্ডারিয়া থানায় দায়িত্বরত ওসি গোলাম মোর্তজা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ কাজ শুরু করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করবো।

ভুক্তভোগী ঐ নারী শিক্ষার্থী বলেন, গেন্ডারিয়া থানাধীন ১১৯/ডি/৩, ডিস্টিলারি রোড এলাকার মো. নাসির হোসেনের বাসায় তার সন্তানকে প্রাইভেট পড়ান। রোববার রাত আনুমানিক ৭টা ৫০ মিনিটে ওই বাসায় পড়াতে যাওয়ার সময় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি তাকে অনুসরণ করতে থাকে। বাসার সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় ওই ব্যক্তি তার পথরোধ করে মোবাইল নম্বর চান। নম্বর দিতে অস্বীকৃতি জানালে নিজেকে 'সিফাত' পরিচয়ে পরিচয় দেন।

ভুক্তভোগী আরও জানান, শিক্ষার্থী সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে থাকলে ওই ব্যক্তি পেছন থেকে তার হাত ধরে এবং প্রতিবাদ করলে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। শিক্ষার্থী চিৎকার শুরু করলে অভিযুক্ত দ্রুত স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে আছে।

এ বিষয়ে গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মুর্তজা বলেন, আমরা অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিসিটিভির ফুটেজ নিয়ে অভিযুক্তকে শনাক্তের চেষ্টা করছি। এখনো তাকে শনাক্ত করতে পারিনি। স্থানীয় বাসিন্দারাও ওকে চিনতে পারছে না। আমরা এ মুহূর্তে একাধিক টিম মাঠে কাজ করতেছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, আমি শুনেছি বিষয়টি। গেন্ডারিয়া থানায় কথা বলেছি। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মধ্যরাতে ‘মব’ সৃষ্টি করে হৃদরোগীকে পুলিশে দিলেন এনসিপি নেতাকর্মীরা

মধ্যরাতে ‘মব’ সৃষ্টি করে হৃদরোগীকে পুলিশে দিলেন এনসিপি নেতাকর্মীরা


ছবি: সংগৃহীত 

চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে মধ্যরাতে এক নাটকীয় ও উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে—জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র কিছু নেতাকর্মী ‘মব’ সৃষ্টি করে এক নিরীহ ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন এবং পরদিন তার পরিবারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন মুক্তি দেওয়ার নামে।

ভুক্তভোগী আনিসুর রহমান, স্থানীয় আবদুস সাত্তারের ছেলে ও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে চান্দগাঁওয়ের পাঠানিয়াগোদা এলাকায় এনসিপি যুবশক্তির চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব মোহাম্মদ সজীব ভূঁইয়ার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা তার বাসার সামনে জড়ো হয়ে হট্টগোল শুরু করেন। পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা ঘরে ঢুকে আনিসকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে যান। এরপর পুলিশকে খবর দিয়ে “আওয়ামী লীগের দোসর” আখ্যা দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

আনিসের স্ত্রী বিবি মরিয়ম জানান, তার স্বামী দীর্ঘদিন রাজনীতি থেকে দূরে, হার্টে তিনটি রিং পরানো—তবু কেউ তাদের কথা শোনেনি। পরদিন তাকে হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়। পরিবারের দাবি, মূল উদ্দেশ্য ছিল চাঁদা আদায়। প্রথমে ১০ লাখ, পরে ৬ লাখ টাকার দাবি জানানো হয়; রাজি না হওয়ায় পুলিশি সহযোগিতায় তাকে জেলে পাঠানো হয়।

চান্দগাঁও থানার ওসি জাহেদুল কবির বলেন, “এনসিপি নেতারা খবর দিয়েছিলেন, কোনো অঘটন ঘটার আশঙ্কা থাকায় পুলিশ গিয়ে আনিসকে থানায় নিয়ে আসে।”

অন্যদিকে অভিযুক্ত নেতা সজীব ভূঁইয়া দাবি করেছেন, “আনিস চান্দগাঁও থানা যুবলীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক ছিলেন। আত্মগোপনে ছিলেন বলে খবর পেয়ে পুলিশকে জানানো হয়।” তবে চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি পাল্টা দাবি করেন, “বরং আনিসের পরিবারই আমাদের টাকা অফার করেছিল, আমরা রাজি হইনি।”

স্থানীয় সূত্র বলছে, ৫ আগস্টের পর থেকে এনসিপি বা বৈষম্যবিরোধী পরিচয়ে এ ধরনের ‘মব’ গঠন ও চাঁদা আদায়ের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। কেউ চাঁদা দিলে ছেড়ে দেওয়া হয়, না দিলে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়—এমন ভিডিওও আগেই ভাইরাল হয়েছিল।

বিশ্লেষক ও স্থানীয়রা বলছেন, এটি এখন প্রশাসনের নীরব প্রশ্রয়ে চলা এক বিপজ্জনক প্রবণতা। রাজনৈতিক পরিচয়ের সুযোগে কিছু নেতা নাগরিক ভয়ের রাজনীতি তৈরি করছেন। পুলিশ যদি এসব ঘটনায় নিরপেক্ষ না থাকে, তবে এ ধরনের ‘মব ন্যায়বিচার’-এর সংস্কৃতি আরও ভয়ংকর আকার নেবে।

২৬ অক্টো, ২০২৫

ফরিদপুরে ট্রাক চাপায় আইনজীবী নিহত

ফরিদপুরে ট্রাক চাপায় আইনজীবী নিহত


ছবি: সংগৃহীত 

ফরিদপুরে অজ্ঞাত একটি ট্রাকের চাপায় মোসাদ্দেক আলী বশির (৪০) নামে এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তার সাথে থাকা মহুরি মজিবর রহমান।

রোববার (২৬ অক্টোবর) রাত পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর সদর উপজেলার বদরপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আইনজীবী জেলা সদরের চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের মমিনখারহাটের ইছাহাক কাজীর ছেলে এবং ফরিদপুর জজ কোর্টের আইনজীবী ছিলেন। ২০১৮ সাল থেকে তিনি আইনজীবী পেশা শুরু করেন। তার নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী জানান, আইনজীবী মোসাদ্দেক ও তার মহুরি মজিবর কানাইপুর থেকে মোটরসাইকেলযোগে শহরের দিকে আসছিলেন। বদরপুর এলাকায় পৌঁছালে অজ্ঞাত একটি দ্রুতগতির ট্রাক তাদেরকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাদের দ্রুত উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আইনজীবী মোসাদ্দেককে মৃত ঘোষণা করেন। মহুরি মজিবর রহমান চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ঘাতক ট্রাক ও চালককে আটকে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।


বিএনপি নেতাকে ১০ লাখ টাকার চেক দিলেও একাউন্টে মাত্র ৩৪১২ টাকা

বিএনপি নেতাকে ১০ লাখ টাকার চেক দিলেও একাউন্টে মাত্র ৩৪১২ টাকা


ছবি: সংগৃহীত 

সুনামগঞ্জে সমাবেশে বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান কামরুলকে নির্বাচনের খরচের জন্য  ১০ লাখ টাকার চেক দেয়া কর্মী নূর কাসেমের একাউন্টে মাত্র ৩৪১২ টাকা রয়েছে। নূর কাসেমের বাড়ি জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তরশ্রীপুর ইউনিয়নের মান্দিয়াতা গ্রামে। তিনি আবেগে চেকটি দিয়েছেন বলে জানান। রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে সেই চেকটি নুর কাসেমকে ফেরত দেন কামরুজ্জামান কামরুল।

এসময় কামরুজ্জামান জানান, এটা ধানের শীষের সমাবেশ ছিল। হাজার হাজার লোক ছিলেন। কেউ ফুল, কেউ টাকার মালা দিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কেউ দশ, কেউ একশ, কেউ পাঁচশ টাকার নোটের মালা দিয়েছেন। তেমনি এক কর্মী মঞ্চে এসে তাকে ১০ লাখ টাকার একটি চেক দিয়েছেন। কামরুল বলেন, ‘এটি দলের প্রতি, আমার প্রতি তার ভালোবাসা। আমি তার ভালোবাসাটা গ্রহণ করেছি এবং তার চেকটি আজ ফেরত দিয়েছি।’

শনিবার বিকেলে বিএনপির ৩১ দফার প্রচার ও ধানের শীষের পক্ষে জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনাবাজারে ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনে (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, মধ্যনগর) দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল। এক পর্যায়ে কর্মীরা তাকে ফুল ও টাকার মালা গলায় দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তখন নূর কাশেম নামের এক কর্মী মঞ্চে উঠে কামরুজ্জামানের হাতে নির্বাচনের খরচের জন্য একটি চেক তুলে দেন। কামরুল সেটি হাতে নিয়ে দেখেন দশ লাখ টাকা চেক। পরে তিনি চেকটি সমাবেশে উপস্থিত দলের নেতা-কর্মীদের দেখান।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ-১ আসনে (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, মধ্যনগর) কামরুজ্জামান ছাড়াও দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে আছেন এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রয়াত নজির হোসেনের স্ত্রী সালমা নজির, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও তাহিপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুল হক, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিএনপি নেতা হামিদুল হক আফিন্দী, ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আবদুল মোতালেব খান।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হলেন প্রেস সচিবের ভাই

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হলেন প্রেস সচিবের ভাই


ছবি: সংগৃহীত 

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিকল্পনা অধিশাখা–১ এর যুগ্ম সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এই সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের দায়িত্ব তিনি অতিরিক্ত পালন করবেন।োএ ছাড়াও তিনি  অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের ছোট ভাই। ফলে তার এই নিয়োগকে ঘিরে নানান আলোচনা চলছে।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (এলজিআরডি) থেকে গত ১ সেপ্টেম্বর জারি করা এক অফিস আদেশে তার নিয়োগ দেওয়া হয়। সেপ্টেম্বরের শুরুতে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ড. আব্দুল্লাহর আগে নাসিক প্রশাসক ছিলেন এ এইচ এম কামরুজ্জামান। তিনি সম্প্রতি পদোন্নতি পেয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে যোগ দেন।

একাধিক সূত্র জানায়, সম্প্রতি আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে নিয়োগ পাওয়া লিয়াকত আলী মোল্লাও প্রেস সচিবের ঘনিষ্ঠজন। তাদের দুই জনই মাগুরার একই গ্রামের বাসিন্দা। নিয়োগের আগে মাগুরা সমিতির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ড. আব্দুল্লাহ ও লিয়াকত আলীকে একসঙ্গে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে আমার ভাইকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে কোনও ধরনের লবিং করিনি। এই পদে তার নিয়োগ নিয়ে আমি এলজিআরডি (স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়) উপদেষ্টা (যিনি নিয়োগ কর্তৃপক্ষ), এলজিআরডি সচিব কিংবা সরকারের অন্য কোনও উপদেষ্টা বা সচিবকে একবারও ফোন করিনি।

ড. আব্দুল্লাহকে প্রশাসক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব খাটাননি বলে দাবি করেন প্রেস সচিব। তিনি বলেন, আমার ভাই সরকারের একজন যুগ্ম সচিব এবং বর্তমানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। তার মূল দায়িত্বের পাশাপাশি তাকে অস্থায়ীভাবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে আমি সরকারের ওপর কোনও প্রভাব খাটিয়েছি—এমন প্রশ্নই আসে না।
শফিকুল আলম বলেন, আমার ভাই জার্মানি থেকে মাস্টার্স, অস্ট্রেলিয়া থেকে পিএইচডি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি একজন দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তা, তার জন্য আমাকে কোনও ধরনের তদবির করতে হয় না। আমি স্বজনপ্রীতিতে বিশ্বাস করি না। গত ১৫ মাসে আমি সরকারি চাকরিতে কারও নিয়োগ বা পদোন্নতিতে প্রভাব বিস্তার করার কোনও চেষ্টা করিনি।
অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের বিষয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, প্রেস সচিবের ভাই হিসেবে নয়, বরং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পর্যাপ্ত কর্মকর্তা না পাওয়া এবং নিরাপত্তা ছাড় পেতে দেরি হওয়ার কারণে আমাদের মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তাকেই অতিরিক্ত দায়িত্ব দিতে হচ্ছে। নছর সাহেবকে তেমনি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, তিনি গত ৩১ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেছেন। তবে তিনি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের ভাই কি না তা জানা ছিল না। পরে অবশ্য নানা মহল থেকে বিষয়টি জানতে পেরেছি।

২৫ অক্টো, ২০২৫

পুরান ঢাকায় সিঁড়িতে আবারও এক যুবককে হত্যা

পুরান ঢাকায় সিঁড়িতে আবারও এক যুবককে হত্যা

ছবি: প্রতীকী 

রাজধানীর বংশাল আগামাসিলেন এলাকায় একটি বাড়ির সিঁড়িতে সজীব নাম এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা তাকে শ্বাসরোধ হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলের দিকে বংশাল আগামাসি লেনের ৯৩/১ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর গলায় জিআই তার পেঁচানো ছিল।

বংশাল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. দুলাল হক সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিকেলে খবর পেয়ে ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।  প্রথমে তার নাম-পরিচয় পাওয়া না গেলেও মোবাইলের মাধ্যমে পরে তার পরিচয় পাওয়া গেছে। সজীবের গলায় জিআই তার পেঁচানো অবস্থায় উপুড় হয়ে সিঁড়িতে পড়ে ছিল। তবে ওই বাসার চারতলায় শুধু একটি পরিবার থাকতো বলে জানতে পেরেছি। এছাড়া ওই বাসা পুরোটাই গোডাউন। চারতলার ওই বাসা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।
তিনি জানান, ধারণা করা হচ্ছে ওই শিক্ষার্থীকে গলায় জিআই তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

হাসপাতালে নিহত সজীবের চাচাতো ভাই মো. ইসলাম জানান, সজীবদের বাসা বংশাল আগামাসি লেনে। সজীব এবার আহমেদ বাউনিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তবে তিনি অকৃতকার্য হন। কয়েকদিন আগে তাবলিগে দোহার গিয়েছিলেন। গতকালই বাসায় আসেন। আজ বিকেল ৩টার দিকে ফোন কল পেয়ে বাসা থেকে বের হন। এরপর বিকেলে জানতে পারি একটি বাসার সিঁড়িতে সজীবের লাশ পাওয়া গেছে।

তিনি জানান, যে বাসায় সজীবের লাশ পাওয়া গেছে, ওই বাসার চারতলায় সজীবের প্রেমিক খাদিজাদের বাসা। খাদিজার বাবা বেঁচে নেই। তবে ঘটনার পর থেকে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। গত ছয় বছর ধরে খাদিজার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সজীবের। মাঝখানে একবার মনোমালিন্য হয়েছিল। তবে খাদিজার মামারা এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না। পরিবারের অভিযোগ, খাদিজার দুই মামা ইকবাল ও কামাল মিলে সজীবকে হত্যা করেছে।


বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ

বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) লিখিত পরীক্ষায় ফল প্রকাশিত হয়েছে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ফল প্রকাশ করা হয়।

সম্পূর্ণ রেজাল্ট