ভারতের প্রাক্তন আমলা এবং শিক্ষাবিদদের একটি জোট আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের কাছে ইসরায়েলে সামরিক রপ্তানি স্থগিতাদেশ আরোপের জন্য অনুরোধ করেন। এই অঞ্চলে ইসরায়েলের চলমান সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ থেকে দায়ের করা হয়েছে এই আবেদনটি।
প্রাক্তন সরকারী কর্মকর্তা এবং পণ্ডিতদের একটি বিবিধ গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত আবেদনকারীরা, ইসরায়েলের অপারেশনে ভারতীয় সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহারের সাথে যুক্ত নৈতিক এবং মানবিক উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে ভারতের প্রতিরক্ষা বাণিজ্য নীতির পর্যালোচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা যুক্তি প্রদান করা হয় যে, ইসরায়েলে সামরিক রপ্তানি অব্যাহত রাখা ভারতকে সংঘাতে জড়িয়ে ফেলতে পারে এবং সম্ভাব্য মানবাধিকার লঙ্ঘনে তারা সহযোগী হিসাবে সাব্যস্ত করবে।
আবেদনটিতে ইজরায়েলের সাথে জড়িত সহিংসতার সাম্প্রতিক বৃদ্ধিকে তুলে ধরা হয়েছে এবং অস্ত্র রপ্তানির মাধ্যমে সংঘাতকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকার পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানানো হয়।
আবেদনকারীরা বিশ্বাস করেন যে এই রপ্তানি স্থগিত করা আন্তর্জাতিক মানবিক মানদণ্ডের সাথে সংহতিপূর্ন হবে এবং শান্তি ও মানবাধিকারের প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করবে। পিটিশনটি সুপ্রিম কোর্টের আদেশের জন্য অপেক্ষমান রয়েছে এবং আদালত ইসরায়েলের সাথে ভারতের প্রতিরক্ষা বাণিজ্য বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করবে কিনা তা দেখার বিষয়।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো সত্ত্বেও, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, হামলার ফলে প্রায় ৪০,৫০০ ফিলিস্তিনি মারা গেছে, যাদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু এবং ৯৩,৫০০ জনের বেশি আহত হয়েছে। গাজার চলমান অবরোধের ফলে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে, যার ফলে এই অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে সামরিক অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। গত ৬ মে এই অঞ্চলে আক্রমণ করার আগে এক মিলিয়নেরও বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় চেয়েছিল।
ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (UNRWA) বুধবার বলেছে যে গত অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে তারা তাদের ২১২ জন কর্মীকে হারিয়েছে।
0 coment rios: