বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। ছবি- সংগৃহীত
রাষ্ট্রপতি শনিবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শনিবার রাতে ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছেন। আইন সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার জানান, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রথমে আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং পরে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
আইন মন্ত্রণালয় থেকে শনিবার রাতে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি রেফাত আহমেদকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে। সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তারা জানান, রোববার নতুন প্রধান বিচারপতির শপথ অনুষ্ঠান হতে পারে।
সৈয়দ রিফাত আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ওয়াদাম কলেজে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি অব টাফ্টস ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স এবং পিএইচডি সম্পন্ন করেন।
কর্মজীবনে সৈয়দ রেফাত আহমেদ ১৯৮৪ সালে ঢাকা জেলা আদালতের আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন। তিনি ১৯৮৬ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন। তিনি হংকং এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ২৭ এপ্রিল ২০০৩ সালে বাংলাদেশ হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হন এবং ২০০৫ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
এর আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শনিবার দুপুর ১টার মধ্যে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগ করার জন্য আল্টিমেটাম জারি করার পর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নীতিগতভাবে তার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং পদত্যাগ করেন। এর আগে দাবি মানা না হলে প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতিদের বাসভবন ঘেরাও করার হুমকি দেন আন্দোলনকারীরা।
সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগের পর আজ (১০ আগস্ট) পাঁচ আপিল বিভাগের বিচারপতি পদত্যাগ করেন। বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি মোঃ আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।
0 coment rios: