অন্যান্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অন্যান্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

২০ নভে, ২০২৫

ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ কারাগারে

ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ কারাগারে


ছবি: সংগৃহীত 

অগ্রণী ব্যাংকের ১৮৯ কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারি মামলায় ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি একসময় অগ্রণী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ছিলেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ এই আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মশিউর রহমান জানান, আজ ওবায়েদ উল্লাহকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁর পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। দুদকের পক্ষে তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজালাল তাঁকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে আজ সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে ওবায়েদ উল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আবেদনে বলা হয়েছে, আসামির বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে অগ্রণী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আছাদগঞ্জ শাখা থেকে বিতরণকৃত ট্রাস্ট রিসিপ্ট (টিআর) ঋণের মাধ্যমে ৫১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করায় মামলা হয়েছে। বর্তমানে সুদে-আসলে এ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৮৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। মামলার তদন্ত ও বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কারাগারে রাখা প্রয়োজন।

ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ২০২৫ সালের ১৬ জুলাই ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে তিনি রূপালী ব্যাংকের এমডি, অগ্রণী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর অগ্রণী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আছাদগঞ্জ শাখা থেকে নিয়ম ভেঙে ঋণ নেওয়ার মাধ্যমে ১৮৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

মামলার অপর আসামিরা হলেন অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ আবদুল হামিদ, অগ্রণী ব্যাংকের আছাদগঞ্জ শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ও মহাব্যবস্থাপক মোস্তাক আহমেদ, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক মো. আবুল হোসেন তালুকদার, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক তাজরীনা ফেরদৌসী ও সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. মোফাজ্জল হোসেন। এ ছাড়া মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মিজানুর রহমান, জাসমীর ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেডের এমডি জহির আহমেদ, ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক টিপু সুলতান ও ফরহাদ মনোয়ারকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের নামে ছোলা ও গম আমদানির জন্য ঋণ মঞ্জুর করা হলেও প্রকৃত সুবিধাভোগী ছিল নুরজাহান গ্রুপ ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাসমীর ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেড। বেতনভোগী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ অনুমোদন ও উত্তোলন করে। নুরজাহান গ্রুপের একটি বেনামি প্রতিষ্ঠানের নামে শাখায় হিসাব খোলা থেকে শুরু করে হিসাব পরিচালনার জন্য নুরজাহান গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাসমীর ভেজিটেবল অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমেদকে হিসাব পরিচালনার জন্য দেওয়া হয়। নতুন এই প্রতিষ্ঠানকে বিপুল অঙ্কের ঋণ মঞ্জুরি এবং পরে ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্তাবলি যথাযথভাবে পরিপালন নিশ্চিত না করে সুপরিকল্পিতভাবে ব্যাংকের ৫১ কোটি টাকা (বর্তমানে সুদে-আসলে ১৮৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা) আত্মসাৎ করেন আসামিরা।

৯ নভে, ২০২৫

শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গোলাম পরওয়ার।

শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গোলাম পরওয়ার।

ছবিঃ সংগৃহীত 
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে চলমান সংকট সমাধানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আজ এক বিবৃতিতে তিনি শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ তিন দফা দাবি আদায়ের জন্য বিক্ষোভরত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণের খবরে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

পরওয়ার বলেন, “সরকারের দায়িত্ব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তিন দফা দাবি সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করা এবং চলমান আন্দোলনের অবসান ঘটানোর জন্য যৌক্তিক ভিত্তিতে তা গ্রহণ করা,”। শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এটি শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সমগ্র জাতির মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

তিনি আরও বলেন, “বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে। এই সময়ে যদি শিক্ষা ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়ে, তাহলে কোমল হৃদয়ের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শিক্ষার ক্ষতি যেকোনো জাতির জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি, এবং এই বিষয়টি সম্মানিত শিক্ষকদেরও বিবেচনায় নেওয়া উচিত,” ।

সরকারকে কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে পারওয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তিন দফা দাবি সংলাপ এবং সহানুভূতির মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানান। তিনি শিক্ষকদের আন্দোলন বন্ধ করে তাদের শ্রেণীকক্ষে ফিরিয়ে আনার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানান।

৪ নভে, ২০২৫

নিবন্ধন না পেয়ে অনশনে, মৃত্যুর হুঁশিয়ারি তারেকের

নিবন্ধন না পেয়ে অনশনে, মৃত্যুর হুঁশিয়ারি তারেকের


ছবি: সংগৃহীত 

রাজনৈতিক দল হিসেবে আমজনতার দল নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে নিবন্ধন না পাওয়ায় দলটির সদস্য সচিব তারেক রহমান আমরণ অনশনের মাধ্যমে মৃত্যুর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। গতকাল তিনি নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকে অনশনে বসেছেন।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেল তিনটায় যখন ইসি সচিব আখতার আহমেদ নতুন তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান, তখন তারেক বিমর্ষ হয়ে পড়েন। ব্রিফিং শেষ হওয়ার পরপরই তিনি ইসি সচিব এবং অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করেন। পরে অতিরিক্ত সচিবের দপ্তর থেকে ফিরে এসে অনশনে বসে পড়েন। তারেক বলেন, নিবন্ধন না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিচ্ছে না।

এদিকে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ৪৩ লাখ গ্রাহকের অর্থ লুট করে, এক মাস আগে এসে দল খুলে নিবন্ধন পেল ডেস্টিনি (ডেসটিনি-২০০০-এর কর্ণধার রফিকুল আমিনের দল বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি)। এর আগে জাতীয় লীগের নিবন্ধনের কথা ঘোষণা করেছিল ইসি; পরে সব ফাঁস হওয়ার পর তা স্থগিত করে। আমরা বছরের পর বছর রাজনীতি করে নিবন্ধিত হচ্ছি না। রাজনীতি কি শুধু বুর্জোয়াদের জন্য? নিবন্ধনের ঘোষণা নয়-যারা জাতীয় লীগের নাম প্রস্তাব করেছিল, তাদের শাস্তি চাই। নাহলে আমরণ অনশন মৃত্যু দিকে ঠেলে দেবে।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, তারা জাতীয় নাগরিক পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) ও বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টির নিবন্ধন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এসব দলের বিরুদ্ধে আপত্তি আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। কোনো আপত্তি না থাকলে বা আপত্তি নিষ্পত্তির পর ইসি চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন সনদ প্রদান করবে।

বর্তমানে ইসির নিবন্ধিত দল রয়েছে ৫৩টি। স্থগিত রয়েছে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন এবং বাতিল রয়েছে ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন ও পিডিপির নিবন্ধন।

ফেসবুকে ব্যাংকের নমিনি সংক্রান্ত ভাইরাল পোস্ট নিয়ে মুখ খুললেন কালামের স্ত্রী

ফেসবুকে ব্যাংকের নমিনি সংক্রান্ত ভাইরাল পোস্ট নিয়ে মুখ খুললেন কালামের স্ত্রী

ছবি- সংগৃহীত
রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত বেসরকারি চাকরিজীবী আবুল কালামের ব্যাংক হিসাবেরনমিনিতার বোন; এমন দাবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলেও এমন কথা কোথাও বলেননি বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী আইরিন আক্তার।

 গত ২৬ অক্টোবর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে প্রাণ হারান আবুল কালাম। ঘটনার দুই দিন পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে থাকে একটি পোস্ট, যেখানে দাবি করা হয়— কালামের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নমিনি তার বোন, ফলে তার স্ত্রী উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।

 এই বিষয়ে নিহতের স্ত্রী আইরিন, বোন লাইজু আক্তার এবং আইরিনের খালাতো ভাই আরিফ হোসেন জানিয়েছেন, ভাইরাল পোস্টটি সম্পূর্ণ ভুল ও বিভ্রান্তিকর, যা তাদের পরিবারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। রোববার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দেখা করলে আইরিন বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কালামের ব্যাংক হিসাবের নমিনির বিষয়ে তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার ব্যাপারে আমার সঙ্গে কেউ কোনো কথা বলেনি।’

 তিনি জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়। আইরিন বলেন, ‘এ সময় তার ব্যবহার করা মুঠোফোন, পাসপোর্ট এবং সঙ্গে থাকা মানিব্যাগ পুলিশের জিম্মায় দেয়া হয়।’ তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জে থাকা অবস্থায় স্বামীর মৃত্যুসংবাদ পেয়ে তিনি ঢাকায় পৌঁছানোর আগেই মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা তেজগাঁও থানায় গিয়ে পুলিশ থেকে কালামের সব জিনিসপত্র বুঝে নেন।

আইরিন বলেন, ‘জিনিসপত্রগুলো আমার ননদ লাইজু আক্তারের কাছে তুলে দেয়া হয়। এরপর আমি নিজেই কালামের ফোন হাতে পাই। তিনি আরও বলেন, ‘কামালের তিনটি ব্যাংকে হিসাব ছিল। তবে এসব ব্যাংকে কত টাকা আছে, তা আমি জানি না। আর নমিনি কে, সেটাও আমি বলতে পারব না।’

 এই প্রসঙ্গে আইরিনের খালাতো ভাই আরিফ হোসেন বলেন, ‘আমরা কাউকেই বলিনি যে আবুল কালামের নমিনি তার বোনেরা। এটি একটি ভুল তথ্য, যা ঘুরে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন পেজে। এ নিয়ে আমরাও কিছুটা বিব্রত।’ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, কোনো ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবের ‘নমিনি’ সংক্রান্ত তথ্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত এবং ব্যাংকগুলো তা কোনো তৃতীয় পক্ষের কাছে প্রকাশ করে না। ফলে ব্যাংকের মাধ্যমেও কালামের হিসাবের নমিনি কে, তা জানা সম্ভব হয়নি।

 নবিষয়টি নিয়ে নিহতের ছোট বোন লাইজু আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার ভাই বিয়ের আগে যেসব অ্যাকাউন্ট খুলেছিল, সেখানে বোনদের নমিনি করেছে। কিন্তু বিয়ের পর আমরাই বলে তার নমিনি পরিবর্তন করেছি। আমার ভাইয়ের জমি এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নমিনি তার স্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘বোনদের নমিনি রাখার কথা ভুল তথ্য। অথচ এ তথ্যই ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।’

স্বজনদের বরাত জানা গেছে, কিশোর বয়সেই মা–বাবাকে হারান আবুল কালাম। ভাইবোনদের সংসারেই তার বেড়ে ওঠা। চার ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে ভাইদের মধ্যে তিনি ছিলেন সবচেয়ে ছোট। ২০১২ সালে তিনি মালয়েশিয়া যান এবং ফিরে এসে ২০১৮ সালে আইরিন আক্তারকে বিয়ে করেন। তাঁদের একটি ছয় বছরের ছেলে ও চার বছর বয়সী মেয়েসন্তান রয়েছে।


মধ্যরাতে বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার

মধ্যরাতে বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার


ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, হানাহানি ও রাস্তা অবরোধসহ নানাবিধ জনস্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ায় চার নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি। সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়।

বহিষ্কৃত নেতারা হলেন— স্বেচ্ছাসেবক দলের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মনি, সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বাবর, সীতাকুন্ড পৌরসভার আহ্বায়ক মামুন, যুবদলের সোনাইছড়ীর সাধারণ সম্পাদক মমিন উদ্দিন মিন্টু।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যার পরে দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে তারা (বহিষ্কৃতরা) চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সীতাকুন্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কদমরসুল, ভাটিয়ারী বাজার, জলিল গেট এলাকায় সহিংসতা, হানাহানি ও রাস্তা অবরোধসহ নানাবিধ জনস্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। এসব কর্মকাণ্ডের জন্য দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে এই চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।