১৬ অক্টো, ২০২৫

১০৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা এবি পার্টির, রয়েছেন যারা

১০৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা এবি পার্টির, রয়েছেন যারা

ছবি: সংগৃহীত 

এয়োদশ সংসদ নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে প্রথম পর্যায়ে ১০৮ আট আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। দ্বিতীয় পর্যায়ের তালিকা প্রকাশ হবে আাগামী মাসে।

বৃহস্পতিবার সকালে তোপখানা রোডে ফারইস্ট টাওয়ার মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু এই তালিকা ঘোষণা করেন।
দ্বিতীয় পর্যায়ের তালিকা প্রকাশ হবে আাগামী মাসে।

প্রথম পর্যায়ের তালিকা পার্টির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে আছেন-ফেনী-৪ আসনে মজিবুর রহমান মঞ্জু, বরিশাল-৩ আসনে আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, পটুয়াখালী-১ আসনে আব্দুল ওহাব মিনার, ঢাকা-২০ আসনে হেলাল উদ্দিন আহাম্মদ, চট্টগ্রাম-৫ আসনে দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম-৮ আসনে গোলাম ফারুক, ঢাকা-১০ আসনে নাসরীন সুলতানা মিলি, ঢাকা-১৭ ফারাহ নাছ সাত্তার প্রমূখ রয়েছেন।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, “আজকে ১০৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হল। এই ঘোষণার পর নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক কার্য্ক্রম শুরু হচ্ছে।
“আমরা একককভাবে নির্বাচন করলে আরও একটি চূড়ান্ত তালিকা আমরা করব। এটা প্রাথমিক তালিকার মনোনীতদের কার্য্ক্রম দেখার জন্য একটি কমিটি করা হবে…। তারা দেখবেন কিভাবে প্রার্থীরা কাজ করছেন, জনগণের কাছে যাচ্ছেন…।”

তিনি বলেন, “একসময় আমরা ভাবতাম, আমরা আমরাই থাকব না, আমাদের সঙ্গে নতুন ভাই-বোনরা যুক্ত হবেন। আমি আজকে অত্যন্ত আনন্দের সাথে আনন্দের সাথে বলছি, যেদিন আমার এক‘শ প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত জানিয়ে সংবাদপত্রে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। তার পর থেকে এই পর্যন্ত কয়ে‘শ টেলিফোন পেয়েছি ভাই, প্রার্থী তালিকা করে ফেললেন, আমরা তো চাই, আপনাদের দলের মাধ্যমে নির্বাচন করার জন্য।
“আমরা তাদেরকে বলেছি, না, আমরা যে প্রার্থী তালিকা করেছি এটা প্রাথমিক। আমাদের তো আরও ২০০ আসনের প্রার্থী তালিকার চূড়ান্ত করার পথ খোলা আছে। সুতরাং এটা আমাদের জন্য আনন্দের যে সময়ে এবি পার্টি করাকে পাবলিকলি স্বীকার করতে চাইত না, এবি পার্টি একটি দল এই দলের হয়ে নিজেকে পরিচয় দেয়ার সাহস করতো না আজকে প্রতিদিন আমাদের দলে লোকজন যুক্ত হচ্ছে, প্রতিদিনই আমরা নানাভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছি।”
আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ২০২০ সালের ২ মে আত্মপ্রকাশ করে। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এই তিন মূলনীতির ভিত্তিতে অধিকার ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দলটি যাত্রা শুরু করে। ২০২৪ সালে এবি পার্টি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায়।

সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সিনিয়র চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব মিনার, ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক, দিদারুল আলম, হেলাল উদ্দিন প্র্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।


ওবায়দুল কাদেরের ভাই গ্রেপ্তার

ওবায়দুল কাদেরের ভাই গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত 

গ্রেপ্তার হয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের পলাতক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই শাহাদাত হোসেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও ৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) এক খুদে বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। বার্তায় বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সহোদর শাহাদাতসহ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৯ (নয়) নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

১৫ অক্টো, ২০২৫

বিচারকদের বদলি-পদায়ন কমিটিতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে রাখার নিন্দা ও প্রতিবাদ

বিচারকদের বদলি-পদায়ন কমিটিতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে রাখার নিন্দা ও প্রতিবাদ



বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার খসড়া আইনে বিচারকদের বদলি ও পদায়নের জন্য গঠিত কমিটিতে বিচারপতি ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার পাশাপাশি অ্যাটর্নি জেনারেলকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে বিচারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

মঙ্গলবার সংগঠনটির সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম ও মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলামের যৌথ বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি যে, পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার খসড়া আইনে বিচারকদের বদলি ও পদায়নের জন্য গঠিত কমিটিতে বিচারপতি মহোদয় ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার পাশাপাশি নির্বাহী বিভাগের প্রতিনিধি তথা অ্যাটর্নি জেনারেলকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি সংবিধানের ১১৬ নং অনুচ্ছেদ এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতার মূলনীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৬ নং অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, জেলা আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলার দায়িত্ব একমাত্র সুপ্রিম কোর্টের হাতে ন্যস্ত। বিচারকদের বদলি ও পদায়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নির্বাহী বিভাগের কোনো প্রতিনিধির অংশগ্রহণ সংবিধানের এই বিধানের পরিপন্থি। প্রস্তাবিত কমিটিতে অ্যাটর্নি জেনারেলের অন্তর্ভুক্তি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার উপর সরাসরি আঘাত এবং ঐতিহাসিক মাসদার হোসেন মামলার রায়ের মূলনীতি পরিপন্থি। 

তারা আরও বলেন, বিচারকদের বদলি, পদায়ন ও শৃঙ্খলা বিষয়ক অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির কোনো যৌক্তিক কারণ থাকতে পারে না। এটা একটি নজিরবিহীন ঘটনা। ভারত, পাকিস্তানসহ পৃথিবীর যেকোনো সভ্য দেশে বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে আইনজীবীদের অন্তর্ভুক্ত করার কোনো নজির নেই। এই ধরনের পদক্ষেপ বিচার বিভাগের স্বাতন্ত্র্য ও স্বাধীনতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করবে বলে অ্যাসোসিয়েশনের আশঙ্কা।

অধস্তন আদালতের বিচারকদের এই সংগঠন থেকে বলা হয়, বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন জেলা আদালতের বিচারকদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রধান স্টেকহোল্ডার হিসেবে এই অধ্যাদেশ প্রণয়নের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ উপেক্ষিত হয়েছে। খসড়া অধ্যাদেশ মন্ত্রিপরিষদে পাঠানোর পূর্বে অ্যাসোসিয়েশনের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি, যা একটি আইন পাশের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ও স্বচ্ছতা বিরোধী। বিচারকদের বদলি ও পদায়নের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিচারকদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনের মতামত উপেক্ষা করা অগ্রহণযোগ্য এবং বিচার বিভাগের স্বার্থের প্রতি অবজ্ঞার পরিচায়ক।

বৈপ্লবিক জুলাই অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশ গঠনে প্রধান বিচারপতির ঐতিহাসিক রোডম্যাপ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বদ্ধপরিকর। অ্যাসোসিয়েশন শুরু থেকেই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, বিচারকদের মর্যাদা ও স্বার্থ রক্ষায় সোচ্চার। বিচারকদের বদলি ও পদায়নের কমিটিতে নির্বাহী বিভাগের প্রতিনিধির অংশগ্রহণ সুস্পষ্টভাবে ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ তৈরি করবে এবং যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য এক আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। কারণ অ্যাটর্নি জেনারেল সরকারের মাধ্যমে নিযুক্ত হওয়া এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হওয়ায় উক্ত কমিটিতে তার অংশগ্রহণ বিচারকদের প্রভাবিত করবে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বাধা সৃষ্টি করবে।

অ্যাসোসিয়েশন অনতিবিলম্বে উক্ত বিধান সংশোধন করে প্রস্তাবিত কমিটিতে শুধু বিচারপতি এবং বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের রাখার জোর দাবি জানাচ্ছে। তারা জানান, পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার নামে বিচারকদের স্বার্থের বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত কখনোই মেনে নেবে না। 

বুকে বল রাখেন’ ইনুকে দীপু মনির সান্ত্বনা

বুকে বল রাখেন’ ইনুকে দীপু মনির সান্ত্বনা


‘বুকে বল রাখেন’ ইনুকে দীপু মনির সান্ত্বনা

সংগৃহীত ছবি

আপনাদের সঙ্গে সম্ভবত আর দেখা হবে না। আমার মামলা ট্রাইব্যুনাল-২ এ নিয়ে গেছে। সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর এমন কথায় সাহস জোগালেন সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বললেন, চিন্তা করবেন না ভাই। আল্লাহ ভরসা। বুকে বল রাখেন, মনোবল হারাবেন না।

দু’জনের কথার মধ্যে সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলে ওঠেন- এভাবে ওঠানো-নামানোর নাটক কবে শেষ হবে এদের। বুধবার (১৫ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর কাঠগড়ায় সাবেক এ দুই প্রভাবশালী মন্ত্রীদের মধ্যে এমন কথা হয়।

এদিন সকালে জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে হত্যা-গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক সাত মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

কেরানীগঞ্জ, কাশিমপুর ও নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তায় আনার পর সবাইকে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় রাখা হয়। বেলা সোয়া ১১টার পর একে একে তাদের এজলাসকক্ষে নেন পুলিশ সদস্যরা। এর মধ্যেই একজনের সঙ্গে আরেকজনের আলাপ করতে দেখা যায়। 

ট্রাইব্যুনালের কাঁচঘেরা কাঠগড়ার ঠিক সামনের সারিতে চেয়ারে বসেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তার পাশে বসেন আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। তবে মাঝের সারিতে ডা. দীপু মনি বসলেও ঠিক পেছনে বসেন ইনু। জাসদের এই সভাপতির পাশে ছিলেন কামাল মজুমদার।

কিছুক্ষণ পর মামলার নতুন তারিখ নির্ধারণ হওয়ায় ফের তাদের হাজতখানায় রাখা হয়। এসব মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আরও প্রায় দুই মাস সময় পেয়েছে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। একইসঙ্গে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল-১।

এদিন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহম্মেদ পলক, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাংগীর আলম, সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। দুপুরের দিকে তাদের ফের কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ।
 
এর আগে, ২০ জুলাই এ মামলায় তদন্তে আরও তিন মাস সময় আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর। পরে আবেদন মঞ্জুর করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল। তবে প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় সময় চাইলে আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেয়া হয়।

এদিকে আজ সকাল থেকেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সতর্ক ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও। প্রায় সবাইকেই তল্লাশি চালিয়ে ট্রাইব্যুনালে ঢুকতে দেয়া হয়।

 আজ সন্ধ্যায় রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐক্যমত্য কমিশনের বৈঠকে যোগ দেবেন সিএ

আজ সন্ধ্যায় রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐক্যমত্য কমিশনের বৈঠকে যোগ দেবেন সিএ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের একটি সভায় যোগ দেবেন জুলাইয়ের জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের সার্বিক প্রস্তুতি এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে।

জুলাইয়ের জাতীয় সনদ ২০২৫ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে, আজ বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়, কমিশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে, বৈঠকের পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে। কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ, সদস্য বিচারপতি মোঃ এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন, ডঃ ইফতেখারুজ্জামান, ডঃ বদিউল আলম মজুমদার এবং ডঃ মোঃ আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ডঃ খলিলুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া সভায় উপস্থিত ছিলেন। জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ১৭ অক্টোবর রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

 হাসিনার বিরুদ্ধে ৩টি মামলায় আরও ৫ জন সাক্ষী, আরও ৪৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য

হাসিনার বিরুদ্ধে ৩টি মামলায় আরও ৫ জন সাক্ষী, আরও ৪৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য

রাজউক পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল সহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা তিনটি মামলায় আজ পাঁচজন নতুন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ।

সাক্ষীরা হলেন- রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর পরিচালক তানজিলুর রহমান এবং আল মামুন মিয়া, টাইপিস্ট জাকির হোসেন, কালিগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার মাহমুদুর রহমান এবং জাজিদুর রহমান ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এ তারা সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এরপর বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন শুনানি ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি করেন।

শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলায় প্রথম পাঁচজন সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। শেখ হাসিনা এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুল সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলায় তারা আবার সাক্ষ্য দিয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলীজানিয়েছেন, শেখ হাসিনা এবং সজীব ওয়াজেদ জয় সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলায় রাজউকের পরিচালক আল মামুন মিয়া এবং টাইপিস্ট জাকির হোসেন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এই তিনটি মামলায় অভিযোগ গঠন করেন এবং আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই দিনে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এই বিষয়ে দায়ের করা অন্য তিনটি মামলায় অভিযোগ গঠন করেন। এর আগে, ২০ জুলাই ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও আসামিরা হাজির না হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে মামলাগুলি বিচারিক আদালতে প্রেরণ করেন।

১ জুলাই আদালত শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা এবং সজীব ওয়াজেদ জয় সহ ১০০ জন আসামিকে তলব করে গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। দুদক ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫ সালের মধ্যে ছয়টি মামলা দায়ের করে এবং ১০ মার্চ চার্জশিট দাখিল করে। মামলার বিবরণ অনুসারে, ১৪ জানুয়ারী, দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন ১০ কাঠা পূর্বাচল প্লটের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

একই দিনে, দুদকের সহকারী পরিচালক এসএম রাশেদুল হাসান হাসিনা ও জয়সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেন; চার্জশিটে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। ১৩ জানুয়ারী, সালাহউদ্দিন হাসিনা, রেহানা, রাদওয়ান মুজিব, টিউলিপ সিদ্দিক এবং আজমিনা সিদ্দিকসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেন; চার্জশিটে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

সেদিনই আরেকটি মামলা দায়ের করা হয় হাসিনা, টিউলিপ এবং আজমিনাসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে; চার্জশিটে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। রাদওয়ান মুজিবসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়; অভিযোগপত্রে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ১২ জানুয়ারী, দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া হাসিনা এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুল সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন; অভিযোগপত্রে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের এবং আরও ৪৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ৮ ডিসেম্বর

ওবায়দুল কাদের এবং আরও ৪৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ৮ ডিসেম্বর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)-১ আজ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক এবং শাহজাহান খান সহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছে। বিচারপতি মোঃ গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন আরও সময় মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন।

আজ শুনানির জন্য আদালতে হাজির করা হয় আসামি আনিসুল হক, আমির হোসেন আমু, শাহজাহান খান, কামরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, দীপু মনি, জুনাইদ আহমেদ পলক, সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং জাহাঙ্গীর আলমকে। আরেক আসামি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খান চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে আজ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়নি। ১৭ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে প্রথম ট্রাইব্যুনাল ৪৫ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।