আদালতের সহজাত ক্ষমতাঃ
দেত্তয়ানি কার্যবিধি যেসব বিষয়ে নীরব বা এতটা পরিষ্কার না হলে কিছু বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
কখনও কখনও এই খুব বিশেষ ক্ষমতা ন্যায়বিচারের শেষ অবলম্বন হয়ে ওঠে যেখানে সাধারণ ক্ষমতার কর্তৃত্বের অভাব থাকে বা ন্যায়বিচারকে সমুন্নত রাখার জন্য যে কাজটি করা উচিত তা করতে খুব কার্যকর নয়।
দেত্তয়ানি কার্যবিধিতে আদালতের সহজাত ক্ষমতা [কখন ব্যবহার করতে হবে];
দেত্তয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ -এ সহজাত ক্ষমতাটি ১৫১ ধারার অধীনে আদালতকে স্পষ্টভাবে দেওয়া হয়েছে। ১৫১ ধারায় বলা হয়েছে যে, এই কোডের কোনো কিছুই ন্যায়বিচারের স্বার্থে বা ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় আদেশ দেওয়ার জন্য আদালতের সহজাত ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ বা অন্যথায় প্রভাবিত করে বলে মনে করা হবে না। সুতরাং, দুইটি ক্ষেত্রে আদালত তার সহজাত ক্ষমতা ব্যাবহার করতে পারে, তা হলঃ
১। ন্যায়বিচারের স্বার্থে এবং
২। আদালতের প্রক্রিয়ার অপব্যবহার এড়াতে
১। ন্যায়বিচারের স্বার্থেনঃ মোহন লাল বনাম শেঠে হীরাল – এআইআর ১৯৬২ (এসসি) ২৩ -এ আদালত বলে যে, “সহজাত ক্ষমতা ন্যায়বিচারের প্রান্তগুলিকে সুরক্ষিত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি আদালত তার নিজস্ব আদেশ প্রত্যাহার করতে পারে, তার ভুল সংশোধন করতে পারে এবং আদেশ ৩৯ এর অধীনে অন্তর্ভুক্ত নয় এমন বিষয়ে এক্স-পার্ট ডিক্রিকে বাতিল করতে পারে। এটি মামলায় যেকোনো পক্ষকে সংযুক্ত, বাদ বা সংশোধন করতে পারে। অন্তর্নিহিত ক্ষমতা অবৈধ আদেশ বা এখতিয়ার ব্যতীত গৃহীত আদেশগুলিকে বাতিল করতে পারেড়ে"
২) আদালতের প্রক্রিয়ার অপব্যবহার রোধ করাঃ মোহন লাল বনাম শেঠে হীরাল – এআইআর ১৯৬২ (এসসি) ২৩ এটিও বলা হয় যে,
“আদালতের প্রক্রিয়ার অপব্যবহার রোধ করার জন্য সহজাত ক্ষমতাব্যবহার করা যেতে পারে।
এখানে প্রক্রিয়ার অপব্যবহারের অর্থ আইনি প্রক্রিয়ার মনগড়া ব্যবহার, এর অর্থ প্রতিপক্ষের উপর অন্যায্য সুবিধা পাওয়ার জন্য আইনি প্রক্রিয়ার অনুপযুক্ত ব্যবহার।"
যখন সহজাত ক্ষমতা প্রয়োগ করা যায় নাঃ
আদালতের সহজাত ক্ষমতা প্রকৃতিতে খুব বিস্তৃত এবং আদালতকে প্রদত্ত ক্ষমতার অতিরিক্ত হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু এটাও খেয়াল রাখতে হবে; প্রতিষ্ঠিত নীতি এবং আইনের নিয়ম উপেক্ষা করে সহজাত ক্ষমতা ব্যবহার করা যাবে না এবং অন্তর্নিহিত ক্ষমতা ব্যবহার করা যাবে না যেখানে বিষয়টি বিশেষ আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
0 coment rios: