৯ নভে, ২০২৫

৫ মামলায় হাইকোর্টে আইভীর জামিন

৫ মামলায় হাইকোর্টে আইভীর জামিন

ছবি: সংগৃহীত 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় হত্যাসহ পৃথক পাঁচ মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তার জামিন প্রশ্নে রুল যথাযথ ঘোষণা করে রোববার (৯ নভেম্বর) বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী। এর মধ্যে তিনটি হত্যা মামলা ও বাকী দুটি হত্যাচেষ্টা মামলা।

গত ৯ মে ভোর রাত ৩টার দিকে শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত চুনকা কুটির থেকে আইভীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বিভিন্ন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

৮ নভে, ২০২৫

সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সব উপজেলায় পাঠানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সব উপজেলায় পাঠানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ছবি: সংগৃহীত 

সাপের কামড়ের প্রতিষেধক অ্যান্টিভেনম দেশের সব উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর সিভিল সার্জনদের নির্দেশনা দিয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি উপজেলা সদরের কমপক্ষে দুটি ফার্মেসিতে সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম মজুত রাখতে বলা হয়েছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মীর এ কে এম নুরন্নবী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই নির্দেশনাটি গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দাখিল করা এক প্রতিবেদনে জানানো হয়। গত ১৭ আগস্ট হাইকোর্ট উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিভেনম সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই নির্দেশ স্বাস্থ্যসচিব, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

জনস্বার্থে দায়ের করা এই রিটের প্রাথমিক শুনানি হয়েছিল ১৮ আগস্ট, যার রিটকারী আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মীর এ কে এম নুরন্নবী। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট ইসমাঈল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান ও তানিম খান এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত সাপের কামড়ে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং এই পাঁচ মাসে ৬১০ জন সাপের দংশনের শিকার হয়েছেন। সাম্প্রতি বাংলাদেশে এই বিষধর সাপটি নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং এটি ২৭টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে।এটি ভাইপারিড গ্রুপের একটি বিষাক্ত সাপ। ২০২২ সালে পরিচালিত জাতীয় জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর চার লাখের বেশি মানুষ সাপের দংশনের শিকার হন এবং দুঃখজনকভাবে প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন।

ডা. রোবেদ আমিন জানান, বিষধর সর্পদংশনের স্বীকৃত চিকিৎসা হচ্ছে অ্যান্টিভেনম। দেশের প্রধান বিষধর সাপের বিষ সংগ্রহ করে তা ঘোড়ার শরীরে প্রয়োগ করা, ঘোড়ার রক্তের সিরাম থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অ্যান্টিভেনম তৈরি করা হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে অ্যান্টিভেনম তৈরি করা হয় না। ভারতে তৈরি (৪টি প্রধান বিষধর সাপের বিরুদ্ধে প্রস্তুত) অ্যান্টিভেনম সংগ্রহ করে অসংক্রামক ব্যধি কর্মসূচি বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে সরবারহ করা হয়ে থাকে। অ্যান্টিভেনম ক্রয়, বিতরণ, সংরক্ষণ, ব্যবহার, ব্যবহার পরবর্তী প্রভাব (নজরদারি) দেখার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কমসূচি না থাকা সত্ত্বেও অ্যান্টিভেনম প্রয়োগের সুফল লক্ষ্যণীয়।

এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে সাপে কাটা রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা প্রাপ্তি সহজ হবে বলে আশা করা যায়, যা সর্পদংশনে মৃত্যুর হার কমাতে সহায়ক হতে পারে।

'দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত সহজ ছিল না': ভারতীয় মিডিয়ায় শেখ হাসিনা

'দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত সহজ ছিল না': ভারতীয় মিডিয়ায় শেখ হাসিনা

ছবি: সংগৃহীত 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত সহজ ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘এটা জরুরি প্রয়োজনে নিতে হয়েছিল। যদি আমি সেখানে থাকতাম, তাহলে শুধু আমার নয়, চারপাশের সবার জীবন বিপদে পড়ত।’ গতকাল ভারতীয় দৈনিক ‘দ্য হিন্দু’কে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

একই দিন ভারতীয় দৈনিক ‘দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ এবং ‘হিন্দুস্তান টাইমসে’ সাক্ষাৎকার এবং সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘দ্য উইক’-এ তাঁর নামে নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সাক্ষাৎকার তিনটি ইমেইলে নেওয়া। এসব সাক্ষাৎকার ও নিবন্ধে তিনি আন্দোলনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা, তাঁর শাসনামলে অর্থ পাচার, অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, জুলাই সনদ, সংবিধান সংস্কার, গণভোট, বিএনপি ও উগ্রপন্থার উত্থান বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন।

শেখ হাসিনার কাছে দ্য হিন্দুর প্রশ্ন ছিল, দেশ ছাড়ার আগে আপনি কি পদত্যাগ করেছিলেন? যদি করে থাকেন, তাহলে ঢাকায় কারও কাছে কি আপনার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন? বিস্তারিত বলবেন কি?
উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করতে হলে রাষ্ট্রপতি বরাবর চিঠি জমা দিতে হয়। আমি কখনোই এমন কোনো চিঠিতে সই করিনি, বা রাষ্ট্রপতিও তা গ্রহণ করেননি।’

এই প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা আরও বলেছেন, ‘ঢাকা ত্যাগ করাটা আমার কাছে সহজ কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। বরং এটা ছিল জরুরি প্রয়োজনে নেওয়া। স্পষ্ট হয়েছিল, যদি আমি সেখানে থাকি, তবে শুধু আমার নয়, চারপাশের সবার জীবন বিপদে পড়বে। নিরাপত্তার পরিবেশ ক্রমেই অসহনীয় হয়ে উঠছিল। আমার, পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীদের জীবনের ওপর হুমকি ছিল।’

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রশ্ন ছিল, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আপনার সরাসরি ভূমিকা ছিল বলে অন্তর্বর্তী সরকার অভিযোগ এনেছে। জাতিসংঘ বলেছে, এই বিক্ষোভে প্রায় এক হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছে। এই অভিযোগগুলোর জবাবে আপনি কী বলবেন?

এর উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অভিযোগ করা হয়েছে, এই প্রাণহানির সঙ্গে যুক্ত নিরাপত্তা পদক্ষেপ ছিল আমার– এর কোনো ভিত্তি নেই। অভিযোগগুলোর উদ্দেশ্য প্রতিপক্ষের মুখ বন্ধ করা। মাঠ পর্যায়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পদক্ষেপকে সরকারের সরাসরি নির্দেশ হিসেবে চিহ্নিত করাটা ভুল। সহিংসতা মোকাবিলার ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু সদস্যের ভুল ছিল। তবে আমি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রতি মুহূর্তের কৌশলগত পদক্ষেপে নির্দেশ দিচ্ছিলাম– এ ধারণাটি নিরাপত্তা বাহিনী কীভাবে কাজ করে, তা বুঝতে মৌলিকভাবে ভুল করা। আমি আবারও বলছি, কোনো অবস্থাতেই আমি নিরাপত্তা বাহিনীকে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর অনুমতি দিইনি।’

দ্য উইকের নিবন্ধে শেখ হাসিনা দেশে ‘গণতন্ত্রের অভাব রয়েছে’ বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশে ‘অভিজাত শ্রেণি’র শাসন চলছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের সাক্ষাৎকারে চরমপন্থার উত্থান নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁর মতে, বর্তমান সরকারের নীতির কারণে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তিনি সতর্ক করেছেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন করার কথা ভাবা হচ্ছে, তা বৈধতা পাবে না।

ভারতের মাটিতে আশ্রয় নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসে সাক্ষাৎকারে তিনি নয়াদিল্লির প্রতি তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি ভারতীয় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। দ্য হিন্দুতে বিএনপির সঙ্গে কোনো গোপন বোঝাপড়ার সম্ভাবনা তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মতোই বিএনপিও একটি প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল। তারা বর্তমান সরকারের অসংগতিগুলো তুলে ধরছে।’

‘দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে’র প্রশ্ন ছিল– সম্প্রতি ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, আপনার ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার লুট হয়েছে। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম বিদেশে অর্থ পাচারে সহায়তা করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযোগ করেছে, আপনি পরিবার বা নেতাদের সুবিধা দিতে বেআইনিভাবে সরকারি জমি বরাদ্দ দিয়েছেন। এখন আপনার, ছেলে এবং মেয়ের বিরুদ্ধে আদালতের বিচার চলছে। নিজের, পরিবার এবং রাজনৈতিক সহকর্মীদের বিরুদ্ধে এই দুর্নীতির অভিযোগগুলোর জবাবে কী বলবেন?

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এগুলো তৈরি করেছে। আমি অস্বীকার করছি না যে দুর্নীতি ছিল না, তবে কেউ প্রমাণ করতে পারেনি যে আমার পরিবার ও সহযোগীরা রাষ্ট্রীয় সম্পদ থেকে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন বা রাষ্ট্রীয় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের কথা ভিত্তিহীন এবং হাস্যকর। এত বড় অঙ্কের চুরি করা সম্ভব নয়। যদি এমনটি ঘটত, তবে আমাদের অর্থনীতি ধসে পড়ত। অভিযোগকারীরা তথ্যের চেয়ে কাল্পনিক অভিযোগকে বেশি পছন্দ করেন।’


এনরোলমেন্ট মৌখিক পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

এনরোলমেন্ট মৌখিক পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

গত ৫-১০-২০২৫ইং তারিখে প্রকাশিত ফলাফলে এনরোলমেন্ট লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের এনরোলমেন্ট মৌখিক পরীক্ষার হার্ড-কপি ফরম ডাউনলোড ও জমা প্রদান প্রসঙ্গে নোটিশ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। গত ৬/১১/২০২৫ তারিখে এ সংক্রান্ত নোটিশ তাদের ওয়েবসাইট এ প্রকাশ করা হয়।

নেটিশ:




৫ নভে, ২০২৫

চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ

চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ


ছবি: সংগৃহীত 

চট্টগ্রামে গণসংযোগ কার্যক্রম চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বিএনপি নেতা ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। বুধবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত।

স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর এরশাদ উল্লাহ এলাকায় প্রথমবারের মতো গণসংযোগে অংশ নিতে যান। ওই সময় হঠাৎ অজ্ঞাত দিক থেকে গুলি ছোড়া হয় এবং তিনি গুলিবিদ্ধ হন। সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান, যেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

ঘটনার পর এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত কে বা কারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত—তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে এবং হামলাকারীদের শনাক্তে তথ্য সংগ্রহ করছে।

এরশাদ উল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছেন। তৃণমূল থেকে সংগঠন গড়ে তোলায় তার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির সম্ভাবনাময় প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় তার উপর হামলার ঘটনা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা এটিকে পরিকল্পিত হামলা বলে অভিযোগ করেছেন এবং এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে পরিবার ও দলের নেতারা তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন এবং নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানাচ্ছেন।

চাঁদপুর পাসপোর্ট অফিসে আটক ২ রোহিঙ্গা নারী

চাঁদপুর পাসপোর্ট অফিসে আটক ২ রোহিঙ্গা নারী

ছবিঃ সংগৃহীত 
নতুন পাসপোর্ট সংগ্রহের চেষ্টা করার সময় জাল কাগজপত্র বহন করতে দেখা যাওয়ার পর মঙ্গলবার চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে দুই রোহিঙ্গা নারীকে আটক করা হয়েছে।

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সহ জাল কাগজপত্র আবিষ্কারের পর পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা ওই নারীদের স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে কক্সবাজারের কুতুপালংয়ের ই-১১ ব্লকের ক্যাম্প নং-২ এর সহিসু আলমের মেয়ে সুরাইয়া (১৮) এবং সোনা আলীর মেয়ে জুহুরা বেগম (৩৫)।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম. বাহার মিয়া বলেন, যেহেতু উভয় নারীই ক্যাম্পে বৈধভাবে বসবাস করছেন, তাই ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ তাদের আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ পাহারায় তাদের ক্যাম্পে ফেরত পাঠিয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, নারীরা স্বীকার করেছেন যে তারা সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশি পাসপোর্ট সংগ্রহের চেষ্টা করছিলেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আপিলের উপর সুপ্রিম কোর্টের শুনানি অব্যাহত

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আপিলের উপর সুপ্রিম কোর্টের শুনানি অব্যাহত


ছবিঃ সংগৃহীত 

জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পূর্ববর্তী রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আপিলের উপর আজ অষ্টম দিনের মতো শুনানি অব্যাহত রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের (এসসি) আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ শুনানি করেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এই বিষয়ে একটি আবেদন দাখিলকারী জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল আজ এই বিষয়ে তার যুক্তি উপস্থাপন অব্যাহত রেখেছেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক যুক্তি উপস্থাপন করেন। শুনানির সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।৪ নভেম্বর শুনানিতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এবং রুহুল কুদ্দুস কাজলও অংশ নেন। অ্যাডভোকেট আবেদীন ২৯ অক্টোবর তার বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেছিলেন।

এর আগে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ২৮ অক্টোবর যুক্তি উপস্থাপন করেন। ২১ অক্টোবর পাঁচজন বিশিষ্ট নাগরিকের পক্ষে অ্যাডভোকেট শরীফ ভূঁইয়া প্রথম যুক্তি উপস্থাপন করেন এবং পরের দিনও তা অব্যাহত রাখেন। ২৩ অক্টোবর ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকও শুনানিতে অংশ নেন।

২৭ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে, আপিল বিভাগ ২০১১ সালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি মঞ্জুর করেন, যেখানে ১৩তম সংশোধনী, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়েছিল। ১৩তম সংশোধনী পুনর্বহাল এবং তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত করার জন্য একাধিক রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াত মহাসচিব মিয়া গোলাম পরওয়ার, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন বিশিষ্ট নাগরিক এবং একজন আবেদনকারীর পক্ষ থেকে মোট চারটি রিভিউ আবেদন দাখিল করা হয়। এর আগে, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে, হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলুপ্তিকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছিলেন।